বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়েও বাংলাদেশে সবচেয়ে মারাত্মক ও বড় সমস্যা হলো নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির হার বেড়ে যাওয়া। যে পরিবারে একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি থাকে, সেই পরিবারের কষ্টের সীমা নেই। নেশা করার বিভিন্ন সামগ্রীর সহজলভ্যতাই নেশাখোরদের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর অলিগলিতে ফেনসিডিল, মদ ও গাঁজা অবাধে পাওয়া যায়। মনে হয় দেখেও সবাই না দেখার ভান করে। একজন ভুক্তভোগী পরিবার নেশাগ্রস্ত ব্যক্তিকে নিয়ে আমরণ কষ্টে ভোগে।
নেশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনার প্রধান পথই হলো নেশার সামগ্রীর সহজলভ্যতা কমানো। এটা যেমন জনগণের একার পক্ষে সম্ভব নয়, ঠিক তেমনি সরকারের একার পক্ষেও সম্ভব নয়। তবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিবার, সমাজ, দেশকে নেশামুক্ত করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকাই প্রধান। সরকার যদি কঠোরভাবে নেশাদ্রব্যগুলো ঢুকতে না দেয়, আর নেশাদ্রব্য বিক্রেতাদের শাস্তি দেয়, তাহলে নেশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
সিদ্দিকা ফেরদৌস, শিক্ষিকা, গাইবান্ধা।