
আজকের শহরে হাঁটলেই চোখে পড়ে রাস্তার ধারে, নদীর তীরে ও বাজারে জমে থাকা প্লাস্টিক। ছোট ব্যাগ থেকে শুরু করে বড় প্যাকেজ—প্রতিটি টুকরা পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। এ দৃশ্য মনে করিয়ে দেয়, কেবল সচেতন হওয়াই যথেষ্ট নয়; এখন প্রয়োজন কার্যকর উদ্যোগ। কারণ, প্লাস্টিকমুক্ত শহর কেবল পরিকল্পনা নয়, এটি আমাদের জীবন ও ভবিষ্যতের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিক ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে কাজ করছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের কিছু এলাকায় প্লাস্টিকমুক্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজারে কাপড়, কাগজ ও জৈব পদার্থের ব্যাগ ব্যবহারের চেষ্টা বাড়ছে। কিন্তু সচেতনতা, দায়িত্বশীলতা ও নিয়ম না মানলে এসব উদ্যোগ প্রভাব হারায়।
শহরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিই এখন জরুরি। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে, সংবাদমাধ্যম ও এনজিও নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছে। তবে কার্যকর সমাধান আসবে কেবল কঠোর সরকারি নীতি ও তার বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
এ ছাড়া প্লাস্টিকের সাশ্রয়ী বিকল্প তৈরি করাও অপরিহার্য। অনেক দোকানদারের অভিযোগ, বিকল্প ব্যাগ ব্যয়বহুল। তাই সরকারি সহায়তা, করছাড় ও নাগরিক উদ্যোগ একসঙ্গে থাকলে ধীরে ধীরে শহরকে প্লাস্টিকমুক্ত করা সম্ভব।
অবশেষে বলা যায়, প্লাস্টিকমুক্ত শহর গড়ার দায়িত্ব সবার। সরকার, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকেরা একসঙ্গে কাজ করলে পরিবেশ রক্ষা ও স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিত করা যাবে।
সায়মা আক্তার
শিক্ষার্থী, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়