
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা এবং অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রথম আলোর কার্যালয় দেখে গেলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আসেন তাঁরা। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন।
এ সময় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঘোষণা দিয়ে এসে হামলা করা হয়েছে। কেউ কেউ বাধাও দিয়েছে। এরপরও হামলা হয়েছে। এটা ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন হামলার পর যদি পাশে এসে না দাঁড়াই, তাহলে ভবিষ্যতে কী হবে, বোঝা যায় না।
ইনিকলাব মঞ্চের গুলিবিদ্ধ আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে পুঁজি করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা চালায়।
মাহমুদুর রহমান মান্না গত বছর প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে গরু জবাই ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন রাখেন, ওই সময় কজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে?
আজ প্রথম আলোর ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয় পরিদর্শনে আরও এসেছিলেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
তাঁদের সঙ্গে ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) যুগ্ম মহাসচিব কাজী মো. নজরুল, জেএসডির সহসভাপতি মো. তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, ভাসানী জনশক্তি পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বাবুল বিশ্বাস ও বিলকিস খন্দকার প্রমুখ।