মাওলানা ভাসানীর দৌহিত্র আজাদ খান ভাসানী
মাওলানা ভাসানীর দৌহিত্র আজাদ খান ভাসানী

এবার এনসিপির সঙ্গে ‘সম্পর্কচ্ছেদের’ কথা জানালেন মাওলানা ভাসানীর দৌহিত্র

এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে ‘আনুষ্ঠানিক সম্পর্কচ্ছেদের’ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর দৌহিত্র আজাদ খান ভাসানী। এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এনসিপির প্রত্যাশিত সাফল্য দেখা যায়নি।

জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় এনসিপি যুক্ত হওয়ার পর রোববার দিবাগত মধ্যরাতে এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা বলেন আজাদ খান ভাসানী। তিনি এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠকের (উত্তরাঞ্চল) পাশাপাশি দলের কৃষক উইং প্রস্তুতি কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

মাওলানা ভাসানীর ছেলে প্রয়াত আবু বকর খান ভাসানীর ছোট ছেলে আজাদ খান ভাসানী।  রাতে তিনি ফেসবুকে লেখেন, মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর দেখানো গণমানুষনির্ভর, আধিপত্যবাদ-সাম্রাজ্যবাদ ও বৈষম্যবিরোধী পালনবাদী রাজনীতির স্বপ্ন থেকেই প্রথমে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং পরে এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। সেই রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় দলের কৃষক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বও গ্রহণ করেন।

এরপর আজাদ খান ভাসানী লেখেন, ‘কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, বাস্তব অভিজ্ঞতায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা, গণমানুষের প্রতি দরদ ও ত্যাগের যে গভীরতা প্রয়োজন, এখানে (এনসিপি) তার স্পষ্ট ঘাটতি আমি অনুভব করেছি। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও প্রত্যাশিত সাফল্য দেখা যায়নি। এই বাস্তবতায় বেশ কিছুদিন ধরে সরাসরি সক্রিয় না থেকেও দলটির সঠিক রাজনীতি ও সাফল্য কামনা করে গেছি। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা ও মাওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক আদর্শের পক্ষাবলম্বনই আমার কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেই দায় ও আদর্শের প্রতি অবিচল থাকতেই আজ এনসিপির সঙ্গে আমার আনুষ্ঠানিক সম্পর্কচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি।’

এনসিপির সঙ্গে স্বল্পকালীন পথচলায় কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেন আজাদ খান। তিনি আরও লেখেন, ‘তারুণ্যের অভিযাত্রী দলটির (এনসিপি) প্রতি রইল আন্তরিক শুভকামনা। গণমানুষের রাষ্ট্র বিনির্মাণের সংগ্রামে তারা যেন সঠিক পথ খুঁজে পায়, এই প্রত্যাশাই থাকল। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। যুগ যুগ জিও মাওলানা ভাসানী।’