অনুমতি ছাড়াই ড. কামাল হোসেনের নাম ব্যবহার করায় গণফোরামের প্রতিবাদ

‘মঞ্চ ৭১’ নামের সংগঠনটি তাদের আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনার ব্যানারে গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নাম ব্যবহার করায় প্রতিবাদ জানিয়েছে গণফোরাম। দলটি বলছে, ড. কামাল হোসেনের অনুমতি ছাড়াই তাঁর নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

গণফোরামের তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এই গোলটেবিল আলোচনা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণফোরামের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এ প্রতিবাদ জানান। গণফোরাম নেতারা বলেন, মঞ্চ ৭১ নামের সংগঠনটি ড. কামাল হোসেনের নাম ব্যবহার করে জনমতে যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, এর সঙ্গে ড. কামাল হোসেন বা গণফোরামের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

গতকাল সকালে ডিআরইউ মিলনায়তনে ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। আলোচনা সভার ব্যানারে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নাম উল্লেখ ছিল। তবে তিনি সেখানে ছিলেন না। সকাল ১০টায় গোলটেবিল আলোচনা শুরুর কথা থাকলেও বেলা ১১টায় আলোচনা সভাটি শুরু হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ অন্যরা গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান।

আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন শেখ হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশের সংবিধানকে ছুড়ে ফেলার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে জামায়াত-শিবির ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের জুতার মালা পরাচ্ছে।’

শেখ হাফিজুর রহমানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। এ সময় তাঁরা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তাঁরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল এলে তাঁরা পুলিশের কাছে লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ অন্তত ১৬ জনকে তুলে দেন। পরে রাতে শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান।