
ছয় দফা দাবির বাস্তবায়ন এবং গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে প্রতীকী কফিন ও মশালমিছিল করেছে জুলাই ঐক্য। মোর্চাটির পক্ষ থেকে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, শেখ হাসিনার ফাঁসি এবং গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের রাতের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।
জুলাই ঐক্য হলো ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের মোর্চা। তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে জুলাই ঘোষণাপত্র, আহতদের পুনর্বাসন এবং গণমাধ্যম ও প্রশাসনের সংস্কার। দাবিগুলো মিছিলের ব্যানার ও ফেস্টুনে লিখে তুলে ধরা হয়।
আজ বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে সিটি কলেজের সামনে থেকে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিন নিয়ে মিছিলটি শুরু হয়। এতে মোর্চাটির আনুমানিক দুই শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল থেকে ‘মুজিবাদ, মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘গোপালগঞ্জে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘গোপালগঞ্জের গোপালিরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’, ‘জুলাই ঐক্যের দরকার, বিচার সংস্কার’সহ নানা স্লোগান শোনা যায়।
সমাবেশে জুলাই ঐক্যের সংগঠক আবদুল্লাহ জুবায়ের বলেন, ‘এই কফিন আমাদের প্রতিবাদের প্রতীক। গত বছরের এই দিনে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আবু সাঈদেরা জীবন দিয়েছিলেন। আজকের এই মিছিলের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের বীরদের স্মরণ করছি।’
গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে অভিযোগ করে জুবায়ের বলেন, ‘হাসিনা চলে গেলেও পুলিশদের জায়গায় জায়গায় বসিয়ে রেখেছে। অধিকাংশ পুলিশ গোপালগঞ্জের, অধিকাংশ পুলিশ সেই হাসিনার। এই সব আওয়ামী পুলিশ দিয়ে আপনারা দেশ চালাতে পারবেন না। অবিলম্বে জুলাই অভ্যুত্থানের চাওয়া-পাওয়া পূরণ করুন।’
জুলাই ঐক্যের আরেক সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী বলেন, ‘আমরা আজ যে দাবিগুলো নিয়ে এসেছি, তার মধ্যে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র, প্রশাসনিক এবং গণমাধ্যম সংস্কার অন্যতম। অবিলম্বে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো ঠিক করতে হবে। সংস্কার এবং জুলাই ঘোষণাপত্র ছাড়া যদি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়, তাহলে এ দেশে আবারও জুলাই নেমে আসবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জান্নাত সুরভি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যাঁরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব নিতে পারবেন না, তাঁরা পদত্যাগ করেন। আপনাদের ওই আসনে বসার অধিকার নেই।’