
মেয়র পরিচয়ে সিটি করপোরেশনে ইশরাক হোসেনের সভা প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, তাঁর কাছে আরও দায়িত্বশীল ও পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করছেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে আজ সোমবার দুপুরে ইশরাকের করা একটি সভার বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে রাতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করব, বিএনপির মতো একটা বড় দল নাগরিকদের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় নেবে। একই সঙ্গে যিনি (ইশরাক) পুরো কর্মসূচি পালন করছেন, নগর ভবনে গিয়ে বসছেন, তাঁর কাছ থেকেও আরও দায়িত্বশীল ও পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করব।’
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে নগর ভবনের মিলনায়তনে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইশরাক হোসেন। সেখানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকের ব্যানারে ইশরাক হোসেনের পদবি মেয়র লেখা ছিল।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বলা হচ্ছে, ইশরাক হোসেনের পুরো বিষয়টাতে স্থানীয় সরকার বিভাগ আইন ভঙ্গ করেছে। আসলে স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনো আইন ভঙ্গ করেনি। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গেজেটের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া এবং একই সঙ্গে সিটি করপোরেশনেরও মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সেখানে নির্বাচন করেই নতুন একজনকে মেয়র করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া শপথ পাঠ করানোর কোনো সুযোগ নেই।’
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইশরাক হোসেনের সভার বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টা আমাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। সিটি করপোরেশন নগরের অধিকাংশ নাগরিক সেবা দিয়ে থাকে। আমাদের নিরীক্ষা অনুযায়ী, এক মাস ধরে আন্দোলনের কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ নাগরিক সেবা হ্রাস পেয়েছে। সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আসছে। এ ছাড়া যেহেতু এখন বর্ষাকাল, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতাসহ আরও কিছু সমস্যা আছে। এগুলো মোকাবিলা করাটা সিটি করপোরেশনের জন্য একধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে।’
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা ওয়াসা কার্যালয়ে বসে বৈঠক করছেন এবং কার্যক্রম চলমান রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কোনো কর্মকর্তা সিটি করপোরেশনে যেতে চাইলে তাঁদের প্রতি মারমুখী আচরণ করা হচ্ছে।’