সুনামগঞ্জের পাগলা বড় জামে মসজিদ

সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে মোগল প্রাসাদাকৃতির তিন গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদটি দেখতে পাওয়া যায়। অনেকের কাছে এটি রায়পুর বড় জামে মসজিদ নামেও পরিচিত। ইয়াসিন মির্জা নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ভারতের কলকাতাসহ নানা জায়গায় ভ্রমণের সুবাদে বিভিন্ন ভবনের স্থাপত্যশৈলী দেখে নিজ গ্রামে এই মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

পাগলা বড় জামে মসজিদের সামনের অংশ।
পাগলা বড় জামে মসজিদের সামনের অংশ।

দোতলা মসজিদটির প্রধান স্থপতি ছিলেন মুমিন আস্তাগার। মসজিদের সামনেই রয়েছে ঈদগাহ। মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ১৫০ মিটার ও প্রস্থে ১০০ মিটার। মসজিদের ভেতরে মেঝে ও আশপাশে রয়েছে শৈল্পিক কারুকাজ। দোতলায় ইমাম সাহেবের নামাজের স্থান। মেঝেতে ব্যবহার করা হয় শ্বেতপাথর ও কালো পাথর। মসজিদের তিনটি গম্বুজ ও ছয়টি সুউচ্চ মিনার রয়েছে।

মসজিদের উত্তর দিক দিয়ে বয়ে গেছে মহাসিং নদ। নদের পাশে দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহাসিক মসজিদটির প্রবেশপথ।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন মসজিদটি দেখতে আসেন।
মসজিদের সামনে রয়েছে প্রাঙ্গণ।
কাঠের তৈরি মসজিদের দরজা ও জানালা।
দৃষ্টিনন্দন সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠেন মুসল্লিরা।

কীভাবে যাবেন

সুনামগঞ্জ জেলা সদর থেকে সিএনজি বা অটোরিকশায় চড়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের পাশে পাগলা বড় জামে মসজিদ পৌঁছাতে পারবেন।

ভেতরে মেঝে ও আশপাশে শৈল্পিক কারুকাজ রয়েছে।
মসজিদের দোতলা থেকে বাইরের চিত্র।
মসজিদের বারান্দা।
পাথরের কারুকাজখচিত ইমামের নামাজের স্থান।
মসজিদের বাঁধানো ঘাট।
নামাজ শেষেও মসজিদে সময় কাটান মুসল্লিরা।
নামাজ শুরুর আগে মসজিদের বারান্দায় বসে আছে কিশোরেরা।
মসজিদের চারদিকে রয়েছে নারকেল ও সুপারিগাছ।