Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের প্রধান ফটক

ঈদ যেভাবে এল, বা ঈদের ইতিহাস

মহানবী (সা.)-এর মক্কার ১৩ বছরের জীবনে রোজা ও ঈদের বিধান প্রচলিত ছিল না। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আল্লাহর নির্দেশে মদিনায় হিজরত করেন। মদিনায় তাঁর আগমনের আগে নওরোজ ও মেহেরজান নামে দুটি উৎসব প্রচলিত ছিল। মদিনাবাসীরা নববর্ষ উপলক্ষে নওরোজ এবং বসন্ত উপলক্ষে মেহেরজান পালন করত।

আনাস ইবন মালিক (রা) বর্ণনা করেছেন, জাহেলিয়া যুগের অধিবাসীরা প্রতিবছর দুটি দিনে উৎসব করত। মহানবী (সা.) মদিনায় এসে বললেন, ‘তোমাদের জন্য দুটি দিন ছিল, তোমরা ফুর্তি করতে। আল্লাহ এখন তোমাদের ওই দুটি দিনের বদলে আরও বেশি উত্তম দুটো দিন সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছেন—ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। (নাসায়ি: ২০২১, মিশকাত: ১৪৩৯)

Also Read: নবীজি (সা.)–এর সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু

মহানবী (সা.)-এর দাওয়াতে মদিনার অনেকে ইসলাম কবুল করে। নওরোজ ও মেহেরজান তাঁদের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যায়। তাঁরা মহানবী (সা.)-র কাছে এসে বৈধ উৎসবের বাসনা প্রকাশ করেন। আরও দুটি বছর কেটে যায়। ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে রমজানের রোজা ফরজ হয়। এ সময় আল্লাহ জাহেলি যুগের দুটি উৎসবের পরিবর্তে ইসলামে দুটি উৎসব প্রবর্তন করেন। একটি ঈদুল ফিতর, অন্যটি ঈদুল আজহা।

Also Read: আত্মীয়তা ভাঙতে রাসুল (সা.)–এর সতর্কতা

এই দুই উৎসবে মুসলমানরা পারস্পরিক ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ব, প্রীতি ও সৌহার্দ্যের অনুপম দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে। ভেদাভেদ সরিয়ে দেয় দূরে। আল্লাহ এমন বরকতময় দুটি উৎসব আগে আর কোনো উম্মতকে উপহার দেননি।

মহানবী (সা.) বলেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ। একটি উপবাস ভাঙার (ঈদুল ফিতর) আনন্দ, অন্যটি (আখিরাতে) আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের আনন্দ।’

Also Read: জান্নাতে কার পায়ের শব্দ শুনেছিলেন রাসুল (সা.)