আফিফ–নুরুলদের শুভেচ্ছা জানাচ্ঠেন মাহমুদউল্লাহ
আফিফ–নুরুলদের শুভেচ্ছা জানাচ্ঠেন মাহমুদউল্লাহ

আফিফ–নুরুলদের পরিণত ব্যাটিংয়ে স্বস্তি মাহমুদউল্লাহর

এ ম্যাচ হারলে রেকর্ড হতো বাংলাদেশের, এর আগে কখনই যে এত কম রানের লক্ষ্যে হারেনি তারা। এ ম্যাচ জিতলে রেকর্ড হতো অস্ট্রেলিয়ারও, তারাও কখনোই এত কম রানের সম্বল নিয়ে জিততে পারেনি। তবে রান তাড়ায় শুরুতেই দুই ওপেনার, এরপর ৫ বল ও ১ রানের ব্যবধানে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর ফেরা চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশকে। বেশ দুশ্চিন্তাতেই পড়ে গিয়েছিল ড্রেসিংরুম। আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসানই কাটিয়েছেন সে দুশ্চিন্তা, সিরিজে এগিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশকে।

আফিফের ব্যাটিংয়ে ছিল ভরসা।

আগের দিনের মতো এদিনও ইনিংসের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলার কাজটা করেছিলেন বোলাররা। সব মিলিয়ে বোলারদের পারফরম্যান্সে মাহমুদউল্লাহ খুশি স্বাভাবিকভাবেই, ‘শুরুতে বোলাররা খুবই ভালো করেছে ওদের ১২১ রানে আটকে ফেলে। সাকিব খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল ওর বোলিং ও ব্যাটিংয়ের কারণে। এটাই প্রমাণ করে দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মোস্তাফিজ তো সব সময়ই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এমন কন্ডিশনে সে খুবই মূল্যবান। শরীফুলও ভালো করেছে। বাকি বোলাররাও ওদের সহায়তা করেছে।’

তবে ব্যাটিংয়ে মাঝপথে গড়বড় হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের, এরপর স্বস্তি দিয়েছেন আফিফ ও নুরুলই, ‘কিছু উইকেট দ্রুত পড়ে যাওয়ায় ড্রেসিংরুমে দুশ্চিন্তা ছিল। কিন্তু যেভাবে আফিফ ও সোহান (নুরুল) খেলেছে, ওরা দুজনই আমাদের চাপ কমিয়েছে। ড্রেসিংরুমও এরপর স্বস্তিতেই ছিল। এ দুজন যেভাবে খেলেছে সেটা এক কথায় দারুণ ছিল। দুজনই শেষ পর্যন্ত খেলাটা নিয়ে গেছে। অনেক পরিণত ব্যাটিং করেছে।’

৫৬ রানের জুটি গড়েছিলেন আফিফ–নুরুল

আফিফ-নুরুল যেটি করেছেন, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তেমন কিছু করতে পারেননি কেউ। শেষ ৪ ওভারে ২২ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। অথচ মাঝে মিচেল মার্শ ও মোয়েজেস হেনরিকেসের জুটিতে উঠেছিল ৫৭ রান। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডের হতাশাও তাই স্পষ্ট, ‘আজ ভালো অবস্থানে ছিলাম। কিন্তু সেটির সুবিধা নিতে পারিনি। প্রথম ম্যাচে আমরা প্রথম চার ওভারে খারাপ করেছি। আজ শেষ চার ওভারে। আমাদের দুজন ব্যাটসম্যান উইকেটে থিতু ছিল। কিন্তু এই সুবিধাটা কাজে লাগাতে পারিনি। যা খুবই হতাশাজনক।’

দারুণ আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করেছেন নুরুল হাসান।

দুই ম্যাচেই দুই দলের পার্থক্য আসলে গড়েছে ব্যাটিং-ই। ওয়েড আশা করছেন, অন্তত পরের ম্যাচ ভালো করবে তাঁর ব্যাটিং লাইন-আপ, ‘দুই দলের বোলাররাই খুবই ভালো করেছে। আমাদের বোলিংও দারুণ ছিল। পেস, স্পিন - সবাই ভালো করেছে। এই মুহূর্তে আমাদের বোলিং কোনো সমস্যা না। সমস্যা হলো ব্যাটিংয়ে। প্রথম ম্যাচে শুরুতে সমস্যা হয়েছে। এই ম্যাচে শেষে। আশা করি পরের ম্যাচে সব ক্ষেত্রেই ভালো করব।’

উইকেটেও তেমন পরিবর্তন দেখেননি অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক, ‘উইকেট আগের মতোই ছিল। ১২০ তাড়া করতে গিয়ে ওদের ১৯তম ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে। এতেই বোঝা যায় উইকেট কেমন ছিল। কঠিন পরিশ্রম ছিল। কিন্তু আমরা এমন অবস্থানে ছিলাম যেখান থেকে ১৪০ রানের আশপাশে যেতে পারতাম, যা এই উইকেটে জয়ের মতো রান হতে পারত। আমরা সেটা করতে পারিনি। ওদের পেসাররা শেষের দিকে খুবই ভালো বোলিং করেছে। গতি কমিয়ে বল অনেক দূর ঘুরিয়েছে ওরা। আমরা পরের ম্যাচে ওদের এমন বোলিংয়ের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’