Thank you for trying Sticky AMP!!

মাশরাফিদের ভাবনায় ঈদ নেই

গতকাল জয়ের উল্লাসে বাংলাদেশ দল।
>

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেশবাসীকে আগাম ঈদ উৎসবের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন মাশরাফি বাহিনী। দেশ বাসীকে আরও উৎসবে রাঙাতে মাশরাফিদের থাকতে হচ্ছে ঈদের ভাবনা থেকে দূরে।

দেশে এখন উৎসবের আমেজ। দুদিন পর ঈদ! লন্ডনে অবশ্য এ উৎসবের ছোঁয়া পাওয়া কঠিন! বাঙালি অধ্যুষিত ইস্ট লন্ডনে যা একটু বোঝা যায়, সেটি কি আর দেশের মতো হয়!

লন্ডনে এবার ঈদ করতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। মাশরাফিরা ঈদ করতে যাচ্ছেন জয়ের আনন্দ নিয়ে। ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ কাল হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। পরের ম্যাচ ৫ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংল্যান্ডে ঈদ হতে পারে ৪ কিংবা ৫ জুন। বাংলাদেশকে ম্যাচ খেলতে হবে ঈদের পরের দিন কিংবা উৎসবের দিনই। এটি ভেবেই আয়োজকেরা হয়তো ম্যাচটা করেছেন দিবারাত্রির। কাল প্রোটিয়াদের হারিয়ে দেশবাসীকে ঈদের আগাম ‘উপহার’ অবশ্য দিয়ে রেখেছেন মাশরাফিরা।

ক্রিকেটারদের ঈদ কেমন কাটবে এই বিদেশ বিভুঁইয়ে? মাশরাফি বিন মুর্তজা বলছেন, ঈদের ভাবনাই নেই তাঁদের। তাঁরা শুধু ভাবছেন খেলা নিয়ে, ‘এ বছর আমরা ঈদ ভাবনায় আনিনি। ঈদ হচ্ছে খেলার মধ্যে। খেলাটা উপভোগ করছি। আমাদের কাজই এখন এটা। কারও কারও পরিবার এসেছে ইংল্যান্ডে। আশা করি পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটবে। ঈদের চেয়ে এখন গুরুত্বপূর্ণ যে কাজে এসেছি সেটা ভালোভাবে শেষ করা।’

বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের বিদেশে ঈদ করার অভিজ্ঞতা নতুন নয়। বরং অন্যবারের তুলনায় এবার বিদেশে ঈদটা দুর্দান্ত কাটার কথা তাঁদের। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর আনন্দ, সঙ্গে থাকছে পরিবার। আর লন্ডনে আছে প্রচুর বাংলাদেশি।

নিউজিল্যান্ডের ঘটনার পর খেলোয়াড়েরা এক সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে যাবে কি না, এটা নিয়ে অবশ্য অনিশ্চয়তা আছে। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর এখন জুমার নামাজে পর্যন্ত যেতে দ্বিধায় ভোগেন ক্রিকেটাররা। অনেক সময় মাঠেই নামাজ আদায় করেন। দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ অবশ্য কদিন আগে বলছিলেন, ঈদ গাঁয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা আয়োজকদের জানিয়েছেন। এবং সে অনুযায়ী নিরাপত্তাব্যবস্থাও চাওয়া হয়েছে।

শুধু নিরাপত্তার ব্যাপারই নয়, আরও একটি বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচের আগে খেলোয়াড়েরা সাধারণত নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেন। মনোযোগ শুধুই ম্যাচে রাখতে একপ্রকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যান তাঁরা। এখন ঈদের দিন যদি ম্যাচ থাকে, উৎসবে যোগ দেওয়া মাশরাফিদের কঠিন হয়ে যাবে। উৎসব যদি করতেই হয়, তাঁরা হয়তো সেটি করবেন পরের ম্যাচও জিতে! আর দেশবাসীকে তো তারা আগাম ঈদ উপহার দিয়েই রেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে।