
তাঁর নামের সঙ্গে ‘টেস্টের খেলোয়াড়’ তকমা জুড়ে গেছে অনেক আগেই। এতটাই যে সর্বশেষ পাঁচ বিপিএলে দলই পাননি। টি-টোয়েন্টিতে অনেকটা ব্রাত্য হয়ে পড়া সেই সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকেই এসেছে ২০২৫ এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম সেঞ্চুরি।
আজ ঢাকা মহানগরের হয়ে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ৫৯ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন সাদমান। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৫৪ রানের।
২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত সাদমান এখন পর্যন্ত খেলেছেন ২৪ টেস্ট। ঘরোয়া ক্রিকেটেও লম্বা দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে তিনি নিয়মিত মুখ। খেলেছেন ৯৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে না খেললেও ৫০ ওভারের লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন ৯১টি।
তবে অন্য দুই সংস্করণের তুলনায় টি–টোয়েন্টি খেলেছেন কমই—মাত্র ২০টি। গত বছর এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে ঢাকা মহানগরের হয়ে রংপুরের বিপক্ষে ৫৪ রানের ইনিংসই যেখানে সর্বোচ্চ।
এবারের আসরে সাদমানের ব্যাটে পাওয়া যাচ্ছে টি–টোয়েন্টির মেজাজ। গত মঙ্গলবার সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ৩২ বলে করেছিলেন ৪৯ রান।
৩০ বছর বয়সী এই বাঁহাতি আজ তা ছাপিয়ে ফিফটি তো পেয়েছেনই, সেঞ্চুরিও করেছেন। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রুয়েল মিয়ার বল স্কয়ার লেগে ঠেলে দুই রানে এক শ পূর্ণ করেন তিনি। এনসিএল টি–টোয়েন্টির দুই আসর মিলিয়ে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। আগের দুটি এনামুল হকের ১০১ (খুলনার হয়ে ঢাকার বিপক্ষে) ও জিশান আলমের ১০০ (সিলেটের হয়ে ঢাকার বিপক্ষে)। দুটিই গত আসরের।
এ বছর সাদমানের সেঞ্চুরির আগে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল রাজশাহীর হাবিবুর রহমানের খুলনার বিপক্ষে ৯৪।
তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর সাদমানের ইনিংসটি অবশ্য লম্বা হয়নি। ৬১ বলে ১০১ রান করে ইফতিখার হোসেনের বলে শেখ অন্তরের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৪টি ছক্কা ও ১১টি চার।
বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা মহানগর আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৭ রান করেছে। তাড়া করতে নেমে বরিশাল বিভাগ ১৭.৫ ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয়ে যায়।
৯৬ রানের জয়ে ঢাকা মহানগর ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিনে উঠে এসেছে। ৬ ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট পাওয়া বরিশাল ৮ দলের মধ্যে সবার শেষে। ঢাকা বিভাগ ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এবং চট্টগ্রাম ৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে।
এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুরকে ৪ উইকেট হারায় রাজশাহী।