
মাঠজুড়ে এদিক–ওদিক ধুলা উড়ছে। কোথাও নতুন করে ব্যানার বসছে, কোথাও সম্প্রচারকদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির ব্যস্ততা। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা অনুশীলনে এলেও তাঁদের সময় কেটেছে জিমে। আবুধাবির শেখ আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যতটুকু ব্যাট–বলের ব্যস্ততা হংকংয়েরই।
তাঁদের ঘিরে সংবাদমাধ্যমের আগ্রহ তেমন থাকার কথা নয়। আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাঁদের ম্যাচ দিয়েই পর্দা উঠছে এবারের এশিয়া কাপের। কিন্তু এর আগে কোনো আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনও করেনি হংকং দল। বাংলাদেশ থেকে আসা সাংবাদিকদের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত কথা বলেন হংকংয়ের নিজাকাত খান।
তা, তাঁকে নিয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ কেন? সেটির কারণ খুঁজতে হলে যেতে হবে আরও ১১ বছর আগে। ২০১৪ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিল হংকং। এখন পর্যন্ত সেটিই তাঁদের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র ম্যাচ। এশিয়া কাপে ১১ সেপ্টেম্বর আবার মুখোমুখি হবে দুই দল।
পুরোনো স্মৃতি রোমন্থনই ছিল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশকে ১০৮ রানে অলআউট করে দেওয়ার পথে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন নিজাকাত খান। সেই স্মৃতি কতটুকু মনে আছে? উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘সেটা খুব বিশেষ ছিল, বাংলাদেশকে তাঁদের মাঠে হারানো বেশ কঠিন কাজ। আমার ম্যাচটা ভালোভাবেই মনে আছে। একটা পর্যায়ে তাঁরা ভালো খেলছিল, কিন্তু আমরা ম্যাচে ফিরে আসি। ওই জয়টা খুব স্মৃতিময় ছিল।’
এবার এশিয়া কাপটা কঠিনই হওয়ার কথা হংকংয়ের জন্য। টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ২৪ নম্বরে থাকা দলটার গ্রুপ পর্বে তিন প্রতিপক্ষই টেস্ট খেলুড়ে দেশ। পরিসংখ্যান অবশ্য তাঁদের জন্য বৈরী নয় এতটা। বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টি–টোয়েন্টিতে তাঁরা জয় তো পেয়েছেই, আফগানিস্তানের বিপক্ষেও পাঁচ ম্যাচে জিতেছে তিনটিতেই।
শেষটি অবশ্য ৯ বছর আগে, ২০১৬ সালে। এরপর আফগানিস্তান অনেক বদলেছে। গত বছর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও খেলেছে। তবু বাংলাদেশ–আফগানিস্তানের মতো দলগুলোকে হারাতে পারবেন, এই বিশ্বাস আছে নিজাকাতের।
নিজাকাত বলেছেন, ‘আমাদের সেই বিশ্বাস আছে (হারিয়ে দেওয়ার)। ও রকম খেলোয়াড়ও আছে, যারা ম্যাচটা জিতিয়ে দিতে পারে নির্দিষ্ট দিনে যে ভালো খেলবে। এটা ২–৩ ওভারের ম্যাচ। টি–টোয়েন্টি খুব মজার খেলা। আমাদের দল অনেকটা প্রস্তুত।’
এরপর নিজাকাত যোগ করলেন, ‘টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনো হুমকি নেই। আপনি যদি নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলেন, জিতবেন। শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলছেন নাকি দুর্বল দলের সঙ্গে—এতে কিছু যায় আসে না। অতীতেও এমন হয়েছে। আমরাও করেছি। আফগানিস্তানকে হারিয়েছি, বাংলাদেশকেও হারিয়েছি। যদি আমরা প্রথম বল থেকে সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলতে পারি, আপনি জানেন না কী হবে!’