যেভাবে লেখা হয়েছে ‘ফিফটি ইয়ার্স অব ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম’
যেভাবে লেখা হয়েছে ‘ফিফটি ইয়ার্স অব ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম’

১৪ হাজার ক্রিকেট বল দিয়ে একটা বাক্য, গিনেস রেকর্ড

এই মাঠে কতই না রেকর্ড, ইতিহাস লেখা হয়েছে! ওয়াংখেড়েতেই তো ভারতের সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়, শচীন টেন্ডুলকারের বিদায়ী ম্যাচ, বিরাট কোহলির ৫০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি—যা ভারতীয় ক্রিকেটের অনন্য সব ঘটনা মনে করিয়ে দেয়।

এবার সেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম নিজেই গড়ল নতুন রেকর্ড। মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ওয়াংখেড়ের ৫০তম জন্মদিনে একটি বাক্য বানাতে ব্যবহার করেছে ১৪,৫০৫টি ক্রিকেট বল, যা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নতুন রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে।

ওয়াংখেড়েতে লেখা বাক্যটি ওয়াংখেড়েকে নিয়েই। বল দিয়ে লেখা হয়েছে—‘ফিফটি ইয়ার্স অব ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম।’ যা লিখতে মোট ২৭টি বর্ণের জন্য ১৪ হাজারের বেশি বল ব্যবহার করা হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি বলে একটি বাক্যের রেকর্ড হয়েছে জানিয়ে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অজিঙ্কা নায়েক বলেন, ‘রোমাঞ্চের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ১৪,৫০৫টি সাদা ও লাল বল দিয়ে বানানো বাক্য গিনেস বুক অব রেকর্ডে জায়গা পেয়েছে।’

তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘এই অবিশ্বাস্য অর্জন, এই মাঠে হওয়া প্রথম টেস্টের ৫০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপনে ভারতের প্রয়াত অলরাউন্ডার একনাথ সোলকার ও মুম্বাইয়ের সাবেক ক্রিকেটারদের যাঁরা আমাদের সঙ্গে নেই তাদের উৎসর্গ করছি।’
একনাথ সোলকার ভারতের হয়ে ২৮ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৭৫ সালে হওয়া ২৩ জানুয়ারি ওয়াংখেড়েতে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন সোলকার।

ওয়াংখেড়েতে প্রথম টেস্ট হওয়ার ১২ বছর পর হয়েছে প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৭ সালে। প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হয়েছে ২০১২ সালে।

বল দিয়ে বাক্য বানানোর রেকর্ডের আগেও আরও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আরও কয়েকটি আয়োজন ছিল মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের। যেখানে উপস্থিত ছিল মুম্বাইয়ের ছেলে ও মেয়েদের দলের অধিনায়ক ও ১৯৭৪ সালে এই মাঠে খেলা মুম্বাইয়ের প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচের খেলোয়াড়েরা।

উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে ১৯ জানুয়ারি ছিল প্রদর্শনী। সেদিন উপস্থিত ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার, সুনীল গাভাস্কার, রবি শাস্ত্রী, রোহিত শর্মারা।