বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যাখ্যা করা কঠিন। যখনই সবকিছু নিয়ন্ত্রণে মনে হবে, তখনই প্রতিপক্ষকে কোনো না কোনো উপায়ে ম্যাচে ফেরার সুযোগ দেন ব্যাটসম্যানরা।
এই মুশফিকুর রহিমের কথাই ধরুন। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার যে বলটিতে আউট হয়েছেন, সেটিতে চার মারার চেয়ে আউট হওয়া কঠিন। মুশফিক কঠিন কাজই করেছেন। মুমিনুল হক একাধিকবার ভাগ্যের সহায়তা পেয়েও শেষ পর্যন্ত উইকেট উপহারই দিয়েছেন। ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স এমন হলে সংগ্রহ বড় হবে কীভাবে? সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ তাই গুটিয়ে গেছে ১৯১ রানে।
ঘরের মাঠে টেস্টে ২০০ রানের নিচে গুটিয়ে যাওয়া অনেকটা অভ্যাসে পরিণত করেছে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে সর্বশেষ ৮ ইনিংসে এ নিয়ে ছয়বার দুই শর নিচে অলআউট বাংলাদেশ।
টেলএন্ডারদের নিয়ে জাকের আলী লড়াইটা না করলে সংগ্রহটা আরও ছোট হতে পারত। বাংলাদেশ দল যে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ১৪৬ রানে। সেখান থেকে হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়েন জাকের।
সেই জুটি ১৮৭ রানে ভাঙার পর বাংলাদেশ দল আর টিকেছে ৯ বল। রান যোগ করতে পেরেছে ৪। জাকের আউট হয়েছেন ২৮ রানে। জাকের ও বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান নাহিদ রানাকে আউট করেছেন স্পিনার ওয়েসলি মাধেভেরে।
তবে বাংলাদেশের আসল ধসটা নামিয়েছেন আরেক স্পিনার মাসাকাদজা। ইনিংসের ৩৮তম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসে ফেরান মুশফিককে। ৪ রান করা মুশফিক শর্ট বলে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন। এরপরের ওভারে মুমিনুলও তাঁর হাওয়ায় ভাসানো বলে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন।
কাছাকাছি সময়ে বাউন্সারে ব্যাটসম্যানদের একের পর পরীক্ষা নিচ্ছিলেন মুজারাবানি। সেই পরীক্ষায় ফেল করেছেন ৪০ রান করা নাজমুল ও ১ রান করা মেহেদী মিরাজ। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মুজারাবানি ও মাসাকাদজা।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই ছিল। দুই ওপেনার মিলে অনেকটা নির্বিঘ্নেই ইনিংসের প্রথম ৮ ওভার পার করেন। ইনিংসের নবম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসে সাদমানকে ফেরান নিয়াউচি। ড্রাইভ খেলতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
নিয়াউচি নিজের দ্বিতীয় ওভারে আউট করেন মাহমুদুল হাসানকে। গুড লেংথের ষষ্ঠ স্টাম্পে করা বলটিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন মাহমুদুল। তিনি ফিরেছেন ১৪ রানে। এদিন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন মুমিনুল(৫৬)।