
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া তিন কাউন্সিলর যথাক্রমে ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে পরিচালক পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন।
বিসিবির ৬ অক্টোবরের নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৬০ জন কাউন্সিলর, জমা দিয়েছেন ৫১ জন।
আজ বিসিবির নির্বাচন কমিশনে যাচাই-বাছাইয়ের পর বাতিল হয়েছে তিনজনের মনোনয়নপত্র। অর্থাৎ তিন ক্যাটাগরি মিলিয়ে বাকি ৪৮টি মনোনয়নপত্রই বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া তিন কাউন্সিলর হচ্ছেন বিসিবির সাবেক পরিচালক ও জামালপুর ক্রীড়া সংস্থার এস এম আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান, রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার মো. হাসিবুল আলম ও চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার মো. শওকত হোসেন। তাঁরা যথাক্রমে ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে পরিচালক পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শেখ জুবায়েদ হাসান আজ সাংবাদিকদের জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, এমন তিনটি জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, সেগুলো বৈধ হয়েছে।
তার মানে খুলনা থেকে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আবদুর রাজ্জাক ও জুলফিকার আলী খান, বরিশাল বিভাগের শাখাওয়াত হোসেন ও সিলেট বিভাগের রাহাত সামসের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবির পরিচালক হওয়া নিশ্চিত, যদি না তাঁদের কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আপিল গ্রহণ ও দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শুনানি হবে। পরদিন বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার কথা দুপুর ২টায়।
ফুয়াদের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় ঢাকা বিভাগ থেকে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর ও বর্তমান বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম এবং ঢাকা জেলার কাউন্সিলর ও বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড পরিচালক হওয়ার পথ তৈরি হয়েছে।
তবে ফুয়াদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করব, আপিলে ন্যায়বিচার না পেলে আইনি পদক্ষেপ নেব।’
ফুয়াদের মনোনয়নপত্র বাতিলের কারণ ব্যাখ্যা করে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সমর্থনকারী কাউন্সিলর যিনি তাঁকে সমর্থন করেছেন, তার ফর্মে যে প্রদত্ত স্বাক্ষর, মানে কাউন্সিলরশিপের যে প্রদত্ত স্বাক্ষর, তার সঙ্গে মনোনয়ন ফর্মে যে স্বাক্ষর করেছেন, সেটা সম্পূর্ণ অমিল পাওয়া গেছে।’
যদিও ফুয়াদের দাবি, ‘আমার কাউন্সিলর ফর্ম এবং মনোনয়ন ফর্ম—দুই জায়গাতেই সমর্থনকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন মুন্সিগঞ্জের কাউন্সিলর মুহাম্মদ মাসুদ রানা। স্বাক্ষর ভিন্ন হওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও নির্বাচন কমিশনের সন্দেহ হলে তাঁরা মাসুদ রানাকে ফোনে অন্তত জিজ্ঞেস করতে পারতেন স্বাক্ষর তাঁর কি না। আসলে একপেশে নির্বাচন করতে চাইলে অনেক রকম ষড়যন্ত্রই করা যায়। আর স্বচ্ছ নির্বাচন চাইলে এসব কোনো বিষয়ই হতো না।’