ঋষভ পন্ত
ঋষভ পন্ত

পন্তের ১ রানের দাম ১০ লাখ রুপির বেশি

ঋষভ পন্ত নিজের মান কিছুটা হলেও বাঁচালেন। গতকাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলেছেন ১১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। সেঞ্চুরির পর ডিগবাজি দিয়ে উদ্‌যাপনেই স্পষ্ট, এটি তাঁর কাছে কতটা বিশেষ। অবশ্য ক্ষতি যা হওয়ার, তা আগেই হয়ে গেছে। লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস বাদ পড়েছে প্লে–অফে ওঠার দৌড় থেকে।

সেঞ্চুরিতে এবার আইপিএলে পন্তের মোট রান দাঁড়াল ১৩ ইনিংসে ২৬৯। মানে পরিসংখ্যানটা খানিকটা ভদ্রস্থ হলো বটে, তবে পন্তের দাম, তারকাখ্যাতি বা সামর্থ্য—সবকিছুর সঙ্গেই ১৩ ইনিংসে এই পারফরম্যান্স বেমানান।

অথচ পন্ত আইপিএলে পা রেখেছিলেন রেকর্ড গড়ে। নিলামে তিনি বিক্রি হন ২৭ কোটি রুপিতে, যা আইপিএল ইতিহাসেই সর্বোচ্চ। কিন্তু সে অনুযায়ী কিছুই করতে পারলেন না এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। বলা যায়, লক্ষ্ণৌর ২৭ কোটি রুপিই জলে গেছে! অন্তত এই মৌসুমের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলে এটা বলাই যায়।

ডিগবাজি দেওয়ার সময়ে পন্ত

পন্তের কাছ থেকে একটি রান পেতে লাখ লাখ রুপি খরচ করতে হয়েছে দলটিকে। তাঁর কাছ থেকে প্রতিটি রান পেতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির খরচ হয়েছে ১০ লাখ ৩ হাজার ৭১৭ রূপি। মানে পন্তের ১ রানের দাম ১০ লাখ রুপির বেশি।

১৩ ইনিংসে ২৬৯ রান করা পন্ত সেঞ্চুরির আগে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। মানে দুই ইনিংসেই রান করেছেন ১৮১। আর বাকি ১১ ইনিংস মিলিয়ে রান করেছেন ৮৮। এতেই ফুটে ওঠে আইপিএলজুড়ে কতটা ছন্দহীন ছিলেন পন্ত। হতে পারে অধিনায়কত্বের চাপেই নুয়ে পড়েছেন পন্ত। রেকর্ড দামের চাপ তো আছেই। সব মিলিয়ে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি তিনি।

দলও যেতে পারেনি শেষ চারে। তাঁর দল টুর্নামেন্ট শেষ করেছে পয়েন্ট টেবিলের সাতে থেকে। ১৪ ম্যাচে লক্ষ্ণৌর জয় মাত্র ৬টিতে। শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে হেরেছে ২২৭ রান করেও।

কাল আবার মন্থর ওভার রেটের কারণে ৩০ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছে পন্তকে। বেঙ্গালুরুর কাছে লক্ষ্ণৌও হেরেছে ৬ উইকেটে। সব মিলিয়ে সেঞ্চুরি করেও শেষটা ভালো হয়নি পন্তের।