শেবাগকে দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন ধোনি
শেবাগকে দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন ধোনি

ধোনি বাদ দেওয়ার পর শেবাগের ক্যারিয়ার বাঁচিয়েছিলেন টেন্ডুলকার

বীরেন্দর শেবাগ ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী ভারতের সাবেক ওপেনার। ২০১১ সালের সেই বিশ্বকাপও তিনি জিতেছেন ঘরের মাঠে। তবে শচীন টেন্ডুলকার না থাকলে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ তিনি পেতেন না! কারণ, বিশ্বকাপের বেশ আগেই ভারতের তখনকার অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি তাঁকে ওয়ানডে থেকে বাদ দেওয়ায় অবসরের কথা ভেবেছিলেন শেবাগ। শচীনই তাঁকে সেই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরিয়েছেন।

ঘটনাটি ২০০৭-০৮ মৌসুমে কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজের। প্রথম পাঁচ ম্যাচে শেবাগ করেন মাত্র ৮১ রান—গড় ১৬.২০, সর্বোচ্চ ৩৩। সেই ত্রিদেশীয় সিরিজে শেষ তিন ম্যাচে তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়। ওপেনিংয়ে সুযোগ দেওয়া হয় রবিন উথাপ্পাকে। সেই সিরিজে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জেতে ভারত।

ছয় মাস পর কিটপ্লাই কাপে দলে ফেরেন শেবাগ। বাংলাদেশ, পাকিস্তানকে নিয়ে খেলা ত্রিদেশীয় সিরিজের তিন ম্যাচে করেন ১৫০ রান, ফিফটি করেন দুটিতে। এরপর থেকে ধারাবাহিক রান করতে থাকেন।

দল থেকে বাদ পড়া আর রানখরা মিলিয়ে অবসরের ভাবনা এসেছিল শেবাগের, তাঁকে ফেরান টেন্ডুলকার।

সেই সময়ের কথা মনে করে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার পদ্মজিৎ শেরহাওয়ান্তের পডকাস্টে শেবাগ বলেছেন, ‘২০০৭-০৮ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আমি প্রথম পাঁচ ম্যাচ খেলি, এরপর ধোনি আমাকে একাদশ থেকে বাদ দেয়। এরপর বেশ কিছু আমি একাদশে ছিলাম না। তখন মনে হলো, যদি একাদশে সুযোগই না পাই, তাহলে ওয়ানডে খেলার কোনো মানে নেই।’

ওয়ানডে থেকে অবসরের ভাবনা টেন্ডুলকারকে জানান শেবাগ। শচীন তখন কী বলেছিলেন, তা জানিয়েছেন শেবাগ, ‘আমি গিয়ে শচীনকে বলি, “ওয়ানডে থেকে অবসরের কথা ভাবছি।” শচীন তখন বললেন, “আমিও ১৯৯৯-২০০০ সালে একই পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। তখন মনে হয়েছিল ক্রিকেট ছেড়ে দেব, কিন্তু সেই সময় কেটে গেছে। তুমিও এখন খারাপ সময় পার করছ; কিন্তু এটা কেটে যাবে। আবেগের বশে সিদ্ধান্ত নিয়ো না। নিজেকে কিছু সময় দাও।” এরপর আমি আবার খেলি, রান করি, ২০১১ বিশ্বকাপ জিতি।’ ২৫১ ওয়ানডেতে ৮,২৭৩ রান করে এই সংস্করণ থেকে অবসর নেন শেবাগ।


পডকাস্টে নিজের ছেলে আর্যবীর নিয়েও কথা বলেছেন ভারতের সাবেক তারকা ওপেনার। ১৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান দিল্লির বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ধীরে ধীরে উঠে আসছেন।

ছেলেকে নিয়ে শেবাগ বলেছেন, ‘চাপ বলে কিছু নেই, এটা এমন একটা জিনিস যা দিতে হয়, নিতে হয় না। ও চাইলে নিজের মতো খেলতে পারে, যদি ক্রিকেটার হতে চায়। আপাতত সবকিছু ভালোই চলছে। আশা করি, একদিন ভারত কিংবা রঞ্জি ট্রফিতে খেলবে। কঠোর পরিশ্রম করছে। এখনো ছোট, ভবিষ্যতে অনেক কিছু শিখবে।’