
চতুর্থ রাউন্ডের তিনটি ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে আজ। আরেকটি ম্যাচ শুরু হবে আগামীকাল। প্রথম দিনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন রাজশাহীর সানজামুল ইসলাম। ৫ উইকেট পেয়েছেন রংপুরের রবিউল।
রাজশাহীতে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ২৭৫ রান তুলে দিন শেষ করেছে রাজশাহী। সর্বোচ্চ ১১২ রান করেছেন সানজামুল ইসলাম। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই ফিফটিও করতে পারেননি। ৩ নম্বরে নামা সানজামুল প্রায় একা হাতেই দলকে টানেন পুরো ইনিংস। ৯ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি পেয়েছেন সেঞ্চুরিও। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর দ্বিতীয় শতক।
কিন্তু অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি রাজশাহী। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন সাব্বির রহমান। তাঁর উইকেটসহ সব মিলিয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন ঢাকার অফ স্পিনার আশরাফুল ইসলাম।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে ৫ উইকেট পেয়েছেন রংপুরের পেসার রবিউল হক। তাঁর তোপে ১৯৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে বরিশাল। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেছেন ফজলে রাব্বি। বরিশালের আর কেউ ৩০ রানও পাননি।
বরিশালের ৮ ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে রান নিতে পারেননি। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান এসেছে সালমান হোসেনের ব্যাট থেকে। ১১.৪ ওভার বল করে ৫ মেডেনসহ ২৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন রবিউল। এ ছাড়া ৩ উইকেট নিয়েছেন আরেক পেসার মুকিদুল ইসলামও।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা রংপুরের শুরুটাও ভালো হয়নি। দুই ওপেনার আবদুল্লাহ আল মামুন ও জাহেদ জাভেদকে হারিয়ে ফেলেছে তারা। ২ উইকেটে ৪৩ রান করা দলটির হয়ে কাল ব্যাটিংয়ে নামবেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান নবীন ইসলাম (২১) ও নাঈম ইসলাম (৬)।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ফিফটি পেয়েছেন ময়মনসিংহের আইচ মোল্লা ও শুভাগত হোম। তাঁদের দল চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম দিনটা শেষ করেছে ৮ উইকেটে ২৭১ রান তুলে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১০৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ময়মনসিংহ। এরপর অধিনায়ক শুভাগতর সঙ্গে ৯৬ রানের জুটি আইচ মোল্লার। ৬৫ রান করে নাঈম হাসানের বলে এলবিডব্লু হয়ে আইচ আউট হলে এই জুটি ভাঙে।
৫৪ রান করে শুভাগতও এলবিডব্লু হন নাঈমের বলেই। সব মিলিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা অফ স্পিনার নাঈম।