হেডিংলি টেস্টে ভারত হারল কেন? কারণ নিশ্চয়ই একটি নয়। লোয়ার অর্ডার ব্যর্থ হলো, যশপ্রীত বুমরা ছাড়া বাকি বোলারদের পারফরম্যান্সও ভালো নয়। এমনকি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে বুমরাও উইকেট পাননি। এর বাইরে বাজে ফিল্ডিংও শুবমান গিলদের ডুবিয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন ভারতের কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ভারতের ফিল্ডিং টেস্ট মানের নয় বলে মনে করেন গাভাস্কার।
হেডিংলি টেস্টের উইকেট ছিল ব্যাটিং–সহায়ক। সেখানে প্রথম ইনিংসে ৪৭১ রান করা ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে করে ৩৬৪ রান। ইংল্যান্ড তো শেষ দিনেই ৩৫০–এর বেশি রান তুলে ম্যাচ জিতেছে। এমন উইকেটে ভারতের ফিল্ডাররা ক্যাচ ছেড়েছেন ৭টি। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করা যশস্বী জয়সোয়াল ইংল্যান্ডের দুই ইনিংসে একাই ক্যাচ ছেড়েছেন চারটি!
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৯ রান করা বেন ডাকেট ‘জীবন’ পেয়েছেন। এর আগে প্রথম ইনিংসে ৯৯ রান করা হ্যারি ব্রুককেও জীবন দিয়েছে ভারত। আউটফিল্ডেও সেরাটা দিতে পারেননি গিলরা। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কাল করুন নায়ারের হাতের মধ্যে থেকে বল ফসকে হয়ে গেছে চার। সে কারণেই ভারতের ফিল্ডিংয়ের সমালোচনা করেছেন গাভাস্কার।
ম্যাচ শেষে সনি স্পোর্টসে গাভাস্কার বলেছেন, ‘পুরো কৃতিত্ব ইংল্যান্ডের। ভারতের পাঁচজন সেঞ্চুরি করলেও ইংল্যান্ডের আত্মবিশ্বাসই তাদের জয় এনে দিল। শেষদিকে আরও কিছু রান হলে ফল অন্য রকম হতে পারত। ফিল্ডিংও হতাশাজনক। শুধু ক্যাচ নয়, আউট ফিল্ডিংও (সীমানার ফিল্ডিং) টেস্ট মানের ছিল না।’
অধিনায়ক শুবমান গিলের কথাতেও এসেছিল ক্যাচ মিসের প্রসঙ্গ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন এভাবে, ‘ক্যাচ মিস নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু যখন আপনি মাঠে থাকেন, তখন সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে যায়। আমি মনে করি, এটা এমন একটি দিক, যেটা আমাদের আগামী ম্যাচগুলোতে ঠিক করতে হবে। এমন উইকেটে সুযোগ সহজে আসে না, আর আমরা বেশ কিছু ক্যাচ ফেলেছি।’
প্রথম টেস্ট হারে গাভাস্কার বোলারদের দায় দিতে চান না, ‘বোলারদের খুব বেশি দোষ দেওয়া যাবে না, পিচটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। বুমরা দুর্দান্ত বল করেছে। কিন্তু যদি ওর পাশে কেউ আঁটসাঁট বোলিং করত, তাহলে ভালো হতো।’
ভারতের ব্যর্থতার পেছনে অনুশীলনের অভাবকেও দায়ী বলে মনে করেন গাভাস্কার, ‘পরবর্তী কয়েক দিন বিশ্রাম নাও, কিন্তু তারপর পুরো মনোযোগ দিয়ে অনুশীলন কর। ওসব ‘ঐচ্ছিক অনুশীলন’ বাদ দাও। তোমরা ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছ, এমনভাবে প্র্যাক্টিস কর, যেন নিজের সেরাটা দিতে পার।’