
বোলারদের দাপটের দিনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ঢাকার আশিকুর রহমান। তাঁর সতীর্থ আনিসুল ইসলাম ৩ রানের জন্য পাননি সেঞ্চুরি। বরিশালের পেসার রুয়েল মিয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
রাজশাহীতে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৫২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ঢাকা বিভাগ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে ১১২ রানে অপরাজিত আছেন আশিকুর রহমান। ১২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর তাঁর সঙ্গে ১৮৮ রানের জুটি গড়া আনিসুল ইসলাম ৩ রানের জন্য পাননি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি।
এর আগে ৯ উইকেটে ২৭৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা রাজশাহী প্রথম ইনিংসে অলআউট ২৯৮ রানে। রাজশাহীর শেষ উইকেটটি তুলে নিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট পেয়ে যান ঢাকার অফ স্পিনার আশরাফুল ইসলাম।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬ রানের লিড। তবু বগুড়ায় দ্বিতীয় দিনটা হাসিমুখেই শেষ করেছে রংপুর বিভাগ। প্রতিপক্ষ বরিশাল বিভাগ যে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯০ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছে ৭ উইকেট। দ্বিতীয় দিন শেষে বরিশাল এগিয়ে ৮৪ রানে।
৩ উইকেট নিয়ে বরিশালের মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন জাতীয় দলের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। রিশাদ যখন মঈন খানকে বোল্ড করে তৃতীয় উইকেট পেলেন, বরিশালের স্কোর ৫৪/৬। বরিশালের দিনটা যে আরও খারাপ হয়নি, সেটির কৃতিত্ব তাসামুল হকের। ছয়ে নামা অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ২২ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে ২ উইকেটে ৪৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা রংপুর অলআউট ২০২ রানে। নাসির হোসেন ও মিম মোসাদ্দেক করেন সর্বোচ্চ ৩৭ রান। বরিশালের দুই পেসার ইয়াসিন আরাফাত ও রুয়েল মিয়া এবং বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট। নাঈম ইসলামকে উইকেটকিপারের ক্যাচ বানিয়ে দ্বিতীয় উইকেট নিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন রুয়েল।
চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে ১৬০ রানে এগিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ। ৮ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে দিন শুরু করা ময়মনসিংহ প্রথম ইনিংসে অলআউট ২৮৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৮২ রান তুলে দিনটা শেষ করেছে নবাগত দলটি। মাঝে চট্টগ্রাম অলআউট ২১০ রানে। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেছেন অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন। ময়মনসিংহের দুই স্পিনার শুভাগত হোম ও আরিফ আহমেদ নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট।
সিলেটে সিলেট বিভাগ ও খুলনা বিভাগের ম্যাচটি শুরু হয়েছে এক দিন দেরিতে। আজ শুরু সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রানে অলআউট খুলনা। সিলেট দিন শেষ করেছে বিনা উইকেটে ২৮ রান তুলে।
এনামুল হক ও সৌম্য সরকার ভালো শুরুই এনে দিয়েছিলেন খুলনাকে। তবে ৫ বলের মধ্যে দলকে ৫৫ রানে রেখে দুজনই বিদায় নেন। ২৭ রান করা সৌম্যকে এলবিডব্লু করেছেন নাসুম আহমেদ। ২৪ রান করা এনামুলকে নাসুমের ক্যাচ বানিয়েছেন জাতীয় দলের পেসার তানজিম হাসান। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান কালাম সিদ্দিকীর। দুজনকেই ফিরিয়েছেন জাতীয় দলের স্পিনার নাসুম। ৬১ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেয়েছেন তিনি।