
নিউজিল্যান্ডের ৪ উইকেট নিতে খরচ হয়েছে ৩৮৫ রান। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের তৃতীয় দিনে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের পারফরম্যান্স।
রান–পাহাড়ে চাপা পড়া বলতে যা বোঝায়, ঠিক সেটাই হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৯৬ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। বিনা উইকেটে ৩২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল স্বাগতিকেরা।
আজ তৃতীয় দিনের খেলা শেষে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোর ৪ উইকেটে ৪১৭। সব মিলিয়ে ৪৮১ রানের লিড নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিকেরা নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৩১ রানে অলআউট হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে ১৬৭ রানে অলআউট হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান–পাহাড়ে চাপা পড়ার মূল হোতা নিউজিল্যান্ডের ওপেনার টম ল্যাথাম ও রাচিন রবীন্দ্র। দুজনেই বড় সেঞ্চুরি করেন। ১৪৫ রানের ইনিংস এসেছে ল্যাথামের ব্যাট থেকে। রবীন্দ্র করেন ১৭৬ রান। তৃতীয় উইকেটে তাঁদের ২৭৯ রানের জুটিই মূলত তৃতীয় দিনে নিউজিল্যান্ডের অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার ‘নিউক্লিয়াস।’
ক্যারিয়ারের ১৪তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ল্যাথাম তিন অঙ্কের এ ইনিংস দিয়ে দীর্ঘদিনের সেঞ্চুরি–খরা ঘোচালেন। টেস্টে সর্বশেষ ৪০ ইনিংসে এটাই ল্যাথামের প্রথম সেঞ্চুরি। রবীন্দ্রর এটা টেস্টে চতুর্থ সেঞ্চুরি। ব্যক্তিগত ৮ ও ১৩ রানে তাঁর ক্যাচ ছাড়ার মাশুল দিতে হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
দ্বিতীয় দিনে ৭ ওভার ব্যাট করেছিল নিউজিল্যান্ড। আজ ৮৮ ওভারে তারা তুলেছে ৩৮৫ রান—ওভারপ্রতি গড়ে ৪.৩৭ রান। এর মধ্যে শেষ সেশনে ২৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৮৪ রান! বোঝাই যাচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের জন্য দিনটা কেমন কেটেছে। এর মধ্যেই প্রথম সেশনে ডেভন কনওয়ে ও সেশনের শেষ বলে কেইন উইলিয়ামসনকে তুলে নেন ক্যারিবিয়ান বোলাররা।
৩৭ রান করা কনওয়েকে আউট করেন অভিষিক্ত পেসার ওজয় শিল্ডস। ৯ রান করা উইলিয়ামসন শিকার হন রোচের। এখান থেকে জুটি গড়ে রবীন্দ্র ও ল্যাথাম দ্বিতীয় সেশনে আর উইকেট পড়তে দেননি। শেষ সেশনে রবীন্দ্রকে ফেরান শিল্ডস ও ল্যাথামকে রোচ। উইল ইয়াং (২১*) ও মাইকেল ব্রেসওয়েল (৬*) অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেন।
নিউজিল্যান্ড: ২৩১ ও ৪১৭/৪ (রবীন্দ্র ১৭৬, ল্যাথাম ১৪৫, কনওয়ে ৩৭; রোচ ২/৬১, শিল্ডস ২/৬৪, সিলস ০/৫৮, গ্রিভস ০/৮০)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬৭।
—তৃতীয় দিন শেষে