মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম অবসর নিয়েছেন কিছুদিন হলো। মিডল অর্ডারে কাউকে নতুন করে সুযোগ দেওয়ার জন্য এখন ভালো সময়। কয়েক বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করা নুরুল হাসান বিবেচনায় আসবেন, এমন ভাবনা ছিল অনেকের। তবে তা হয়নি, কাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের স্কোয়াডে সুযোগ হয়নি তাঁর।
সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ধানমন্ডি ক্লাবের নেতৃত্ব দেন নুরুল। ১১ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিতে ৫৮ গড় ও ৯৩.৫৫ স্ট্রাইক রেটে ৫১২ রান করেন। প্রিমিয়ার লিগের আগের মৌসুমেও ৪৯৫ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। ঘরোয়া লিগের পারফরম্যান্স নুরুলকে সুযোগ করে দেয় ‘এ’ দলে।
নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ৫০ ওভারের সিরিজের একটিতে সেঞ্চুরি করেন। প্রথম চার দিনের ম্যাচেও পান সেঞ্চুরি। কাল ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়ার দিনেও নুরুল রান পেয়েছেন। চট্টগ্রামে সবুজ ও লাল দলে ভাগ হয়ে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সেখানে ৭০ বলে ৭ চার ও সমান ছক্কায় ৯৭ রান করেন নুরুল।
এরপর চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের নুরুল বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই ৫০ ওভারের ম্যাচগুলো ভালো যাচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেটের মৌসুমগুলোও ভালো যাচ্ছে। শেষ যখন ওয়ানডে খেলেছি, হয়তো ভালো করেছিলাম। যদি নিয়মিত হতে পারতাম, তাহলে হয়তো ক্যারিয়ারটা অন্য রকম একটা জায়গায় থাকত।’
জাতীয় দলে নিয়মিত না হতে পারায় নিজের কষ্ট লুকাননি নুরুল, ‘অবশ্যই আক্ষেপ ওই জায়গায় আছে। ওই সুযোগটা হয়তো নিতে পারি নাই যেকোনো কারণে। আক্ষেপ থাকবে। যেহেতু জাতীয় দলে খেলা একটা গর্বের ব্যাপার, যখন জাতীয় দলে খেলার ওই স্বপ্ন বা আশাটুকু থাকবে না, তখন আর ক্রিকেট খেলব না।’
লিটন দাসকে স্কোয়াডে ফেরানো হয়েছে, আগে থেকে আছেন জাকের আলী, আরও একজন বাড়তি উইকেটরক্ষক হিসেবে নুরুলকে নিতে চাননি নির্বাচকেরা। তবে তিনি যে বিবেচনায় আছেন, তা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন। সামনের কোনো সিরিজে নুরুলের সুযোগ মেলার ইঙ্গিতও ছিল তাঁর কথায়।
নুরুলের জন্য পরের অ্যাসাইনমেন্ট গ্লোবাল সুপার লিগ। এই টুর্নামেন্টে গত বছর রংপুর রাইডার্স তাঁর নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ১০ জুলাই থেকে গায়ানায় শুরু হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। তবে জাতীয় দলের ব্যস্ততায় এখনো জিএসএলের প্রস্তুতি শুরু করেননি বলে জানিয়েছেন নুরুল।