দুবাইয়ে আজ আবার মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। প্রথম পর্বে একই মাঠে ঘটনাবহুল প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতেছিল ভারত। পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভারতীয় খেলোয়াড়েরা করমর্দন না করায় বিতর্ক কম হয়নি। ওই ঘটনার জেরে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের অপসারনও দাবি করেছিল পাকিস্তান। তবে আজ জিম্বাবুইয়ান পাইক্রফটই থাকছেন ম্যাচ রেফারি। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় শুরু হবে ম্যাচ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা পাঁচ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়েই আজ খেলতে নামবে ভারত। আজ জিতলেই ভারত–পাকিস্তান লড়াইয়ে টানা জয়ের নতুন রেকর্ড গড়বে ভারতীয়রা।
দুবাইয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমান। আজ সুপার ফোরের ম্যাচেও আগে ব্যাট করবে পাকিস্তান। তবে এবার টস জিতেছেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার।
যে বিষয় নিয়ে ভারত–পাকিস্তান মধ্যে নতুন দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল, এবারও সেটির পুনরাবৃত্তি হলো। আগে ম্যাচের মতো আজও হাত মেলাননি দুই অধিনায়ক। টসের সময় অনেকটা মনমরা হয়ে ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমান। ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব টসের ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েই সালমানের পাশ থেকে সরে গেছেন।
সুপার ফোর আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ওমানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে যশপ্রীত বুমরা ও বরুণ চক্রবর্তীকে বিশ্রাম দিয়েছিল ভারত। আজ দুজনই খেলছেন। তাঁদের জায়গা দিতে সরে যেতে হয়েছে দুই পেসার অর্শদীপ সিং ও হর্ষিত রানাকে।
ভারতের একাদশ: অভিষেক শর্মা, শুবমান গিল, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), তিলক বর্মা, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), হার্দিক পান্ডিয়া, শিবম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, যশপ্রীত বুমরা, বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব।
সংযুক্ত আমিরাতের বিপক্ষে খেলা সর্বশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান। বাদ পড়েছেন হাসান নেওয়াজ ও খুশদিল শাহ। তাঁদের জায়গায় খেলছেন দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ ও হুসেইন তালাত।
পাকিস্তানের একাদশ: সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, আগা সালমান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হারিস (উইকেটকিপার), হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ নেওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
পাকিস্তান: ১ ওভারে ৬/০
সাইম আইয়ুব শুরুতে ভালো করতে পারছেন না। তাই উদ্বোধনী জুটিতে বদল এনেছে পাকিস্তান। সাহিবজাদা ফারহানের সঙ্গে ইনিংস শুরু কতে নেমেছেন অভিজ্ঞ ফখর জামান।
ম্যাচের তৃতীয় বলেই ‘জীবন’ পেয়েছেন ফারহান। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে থার্ড ম্যানে ফারহানের ক্যাচ ফেলেছেন অভিষেক শর্মা।
পাকিস্তান: ২ ওভারে ১৭/০
যশপ্রীত বুমার প্রথম ওভারেই চড়াও হয়েছেন ফখর জামান। টানা দুই চারসহ এই ওভার থেকে ফখর একাই নিলেন ১১ রান।
পাকিস্তান: ৩ ওভারে ২৬/১
পান্ডিয়ার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন ফখর। ভারতের উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসন ক্যাচ ঠিকভাবে নিয়েছেন নাকি বল তাঁর গ্লাভসে জমা হওয়ার আগে মাটিতে পড়েছে, তা নিশ্চিত নয়। বাংলাদেশি আম্পায়ার গাজী সোহেলও আউট দেননি। সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয় টিভি আম্পায়ারকে। বেনেফিট অব ডাউট ব্যাটসম্যান ফখরের দিকেই যাওয়ার কথা। কিন্তু নানা অ্যাঙ্গেল থেকে রিপ্লে দেখার পর ফখরকে আউট দিলেন টিভি আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগে।
জায়ান্ট স্ক্রিনে O U T লেখা ভেসে ওঠার পর ফখরের যেন বিশ্বাসই হতে চাইছিল না। টিভি রিপ্লেতে মনে হয়েছে, বল আগে মাটিতে পড়ে স্যামসনের গ্লাভসে গেছে। এই আউট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
পাকিস্তান: ৪ ওভারে ৩৬/১
আগের ম্যাচে বুমরাকে দুটি ছক্কা মেরেছিলেন ফারহান। আজও বুমরাকে দারুণভাবে সামলাচ্ছেন পাকিস্তানের এই ওপেনার। এই ওভারে বুমরা তিনটি ইয়র্কার দিলেও ফারহান মেরেছেন দুটি চার। ওভার থেকে এল ১০ রান।
পাকিস্তান: ৫ ওভারে ৪২/১
ওপেনিং ছেড়ে তিন নম্বরে নেমেছেন সাইম আইয়ুব। তবে ব্যাটিং পজিশন বদলালেও তাঁকে এখন পর্যন্ত নড়বড়ে মনে হচ্ছে। বরুণ চক্রবর্তীর গুগলিতে স্লগ সুইপ করেছিলেন আইয়ুব। কিন্তু শর্ট ফাইন লেগে সম্ভাব্য সহজতম ক্যাচ ফেললেন কুলদীপ যাদব।
পাকিস্তান: ৬ ওভারে ৫৫/১
ফখরের বিতর্কিত আউট বাদ দিলে পাকিস্তানকেই পাওয়ারপ্লেতে এগিয়ে রাখতে হচ্ছে। বুমরা টানা ৩ ওভার করে দিলেন ৩৪ রান। পাওয়ারপ্লে শেষে পাকিস্তান তুলল ৫৫। ফারহান এই ওভারেও মেরেছেন দুটি চার।
টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এর আগে পাওয়ারপ্লেতে কখনো এত রান দেননি বুমরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান দিয়েছিলেন ২০১৬ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
পাকিস্তান: ৮ ওভারে ৭০/১
আবার দুর্ভাগা বরুণ চক্রবর্তী, আবারও ক্যাচ ফেললেন অভিষেক শর্মা। লং অন থেকে একটু ডানে এগিয়ে গিয়ে এক হাতে ক্যাচ নিতে চেয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু তাঁর হাত গলে বল সরাসরি গেল বাউন্ডারির বাইরে। ফারহান আরেকবার ‘জীবন’ পেলেন। পাকিস্তানও পেল ইনিংসের প্রথম ছক্কা।
পাকিস্তান: ১০ ওভারে ৯১/১
ক্রিজে থিতু হওয়ার পর হাত খুলে খেলতে শুরু করেছেন ফারহান ও আইয়ুব। পাকিস্তান এগোচ্ছে রান পাহাড়ের দিকে। সর্বশেষ ২ ওভারে দুজন মিলে মেরেছেন তিনটি ছক্কা।
ফারহান আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে চতুর্থ ফিফটি পূরণ করেছেন।
পাকিস্তান: ১১ ওভারে ৯৬/২
‘খণ্ডকালীন’ বোলার শিবম দুবের হাতে বল তুলে দিয়েছেন সূর্যকুমার। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান কী দারুণভাবেই না দিলেন! নিজের তৃতীয় বলেই আইয়ুবকে ফেরালেন দুবে। দুটি ক্যাচ মিসের পর অবশেষে বল মুঠোবন্দী করতে পারলেন অভিষেক। ভাঙল ফারহান–আইয়ুবের ৪৯ বলে ৭২ রানের জুটি।
পাকিস্তান: ১২ ওভারে ১০৩/২
আইয়ুব আউট হওয়ার পর নেমেছেন আরেক বাঁহাতি হুসেইন তালাত। বরুণ চক্রবর্তীর এই ওভার থেকে এল ৭ রান। পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরিয়ে গেল।
পাকিস্তান: ১৪ ওভারে ১১৫/৩
সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না হুসেইন তালাত। আউট হলেন ১০ রান করে। কুলদীপের বলে রিভার্স সুইপ করেছিলেন। কিন্তু বল ব্যাটের কিনারায় লেগে চলে গেল শর্ট থার্ড ম্যানে দাঁড়ানো বরুণের হাতে।
পাকিস্তান: ১৫ ওভারে ১১৯/৪
‘মোমেন্টাম’ হারিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান। এবার আউট হলেন সাহিবজাদা ফারহান। ফিফটি পোরোনো ফারহান দলকে আরও অনেক দূর টেনে নিয়ে যাবেন, পাকিস্তান সমর্থকেরা নিশ্চয় এই আশায় ছিলেন। কিন্তু ‘খণ্ডকালীন’ বোলার শিবম দুবে আজ ভারতের হয়ে কাজের কাজটা করে চলেছেন। আইয়ুবের পর ফারহানও দুবের শিকার।
এখন ব্যাটিংয়ে নতুন দুই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নেওয়াজ ও আগা সালমান।
পাকিস্তান: ১৭ ওভারে ১২৯/৪
প্রথম ১০ ওভারে ৯১ রান তোলা পাকিস্তান সর্বশেষ ৭ ওভারে করতে পেরেছে মাত্র ৩৮। মাঝের ওভারগুলোয় দারুণ বোলিং করেছেন কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী।
পাকিস্তান: ১৮ ওভারে ১৪৬/৪
শেষটা ভালো হলো না শিবম দুবের। প্রথম তিন ওভারে ১৬ রান দিয়ে দুটি মূল্যবান উইকেট নেওয়া দুবে এই ওভারে ১৭ রান দিয়ে থাকলেন উইকেটশূন্য।
পাকিস্তান: ১৯ ওভারে ১৫৭/৫
ফিল্ডার সূর্যকুমার থ্রো করেছেন, সেদিকে যেন হুঁশই ছিল না মোহাম্মদ নেওয়াজের। ব্যাটকে ক্রিজে না ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। একরকম ‘আলসেমি’ করে রানআউট হলেন নেওয়াজ।
এরপর ফাহিম আশরাফ নেমেই বুমরার ওপর চড়াও হয়েছেন। বুমরা নিজের ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে থাকলেন উইকেটশূন্য। এই ওভারেও ক্যাচ মিস করেছে ভারত। এবার ‘অপরাধী’ শুবমান গিল।
ইনিংসের শেষ বলে পান্ডিয়াকে ছক্কা মেরেছেন ফাহিম আশরাফ। ভারতকে ১৭২ রানের লক্ষ্য দিল পাকিস্তান। টি–টোয়েন্টি ভারতের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে এটাই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ১৫৯, মেলবোর্নে ২০২২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭১/৫ (ফারহান ৫৮, আইয়ুব ২১, নেওয়াজ ২১, আশরাফ ২০* সালমান ১৭*; দুবে ২/৩৩, পান্ডিয়া ১/২৯, কুলদীপ ১/৩১)।
ইতিহাস বলছে, ২০১৮ সালের পর দুবাইয়ে রাতে অনুষ্ঠিত আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুই দেশের মুখোমুখি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করা দল জিততে পারেননি। সর্বশেষ ওই বছরের ৪ নভেম্বর দুবাইয়ে আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে পাকিস্তান।
ভারতের বিপক্ষে আজ কি সেটির পুনরাবৃত্তি করতে পারবে পাকিস্তান?
ভারত: ১ ওভারে ৯/০
ব্যাটিংয়ে নেমেই চড়াও হয়েছেন অভিষেক শর্মা। আইসিসি টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ এই ব্যাটসম্যান শাহিন আফ্রিদির প্রথম বলেই ছক্কা মেরেছেন।
ভারতের কোনো ব্যাটসম্যান এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা মারলেন। অভিষেক মারলেন দুবার। দুবারই চলমান এশিয়া কাপে।
ভারত: ৩ ওভারে ৩১/০
ক্যাচ ফসকানোর ‘ছোঁয়াচে রোগ’টা পাকিস্তানকেও ধরেছে! ভারতের ফিল্ডাররা ক্যাচ মিস করেছেন চারটি, এবার সুযোগ হাতছাড়া করলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নেওয়াজ। আফ্রিদির বলে মিড উইকেটে অভিষেকের দেওয়া ক্যাচ ছেড়েছেন তিনি।
এরপর আফ্রিদির ওপর চড়াও হয়েছেন গিল। সাইম আইয়ুবের করা আগের ওভারে দুই চার মারা গিল এই ওভারেও মারলেন দুটি চার।
কাউকেই ‘খাতির’ করছেন না অভিষেক। এবার লেগ স্পিনার আবরার আহমেদের ওপর চড়াও হয়েছেন তিনি। প্রথম দুই বলে দুই ওপেনার সিঙ্গেল নেওয়ার পর অভিষেক মারলেন চার ও ছক্কা।
পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান করেছিল ১ উইকেটে ৫৫ রান। প্রথম ৬ ওভারে ভারত করেছে বিনা উইকেটে ৬৯ রান। শুবমান গিল ১৮ বলে ৩৫ ও অভিষেক শর্মা ১৮ বলে করেছেন ৩৩ রান
অষ্টম ওভারে সাইম আইয়ুবকে কাভার ড্রাইভ করে চার মেরে ফিফটি ছুঁয়েছেন অভিষকে শর্মা। ২৪ বলে ফিফটি ছুঁলেন ভারতীয় ওপেনার। ৮ ওভার শেষে ভারত করেছে বিনা উইকেটে ৯৬ রান। শুবমান গিল অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে।
ভারত: ১০ ওভারে ১০৫/১
অবশেষে ভাঙল ভারতের উদ্বোধনী জুটি। ১০ম ওভারে প্রথম বোলিং করা ফাহিম আশরাফ পঞ্চম বলে উড়িয়ে দিয়েছেন শুবমান গিলেন অফ স্টাম্প। ১০৫ রানে প্রথম উইকেট হারাল ভারত। গিল ফিরলেন ২৮ বলে ৪৭ রান করে।
শেষ ১০ ওভারে ভারতের দরকার ৬৭ রান।
ভারত: ১১ ওভারে ১০৬/২
৫ বল ও ২ রানের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ভারত। ১০ম ওভারে শুবমান গিলের বিদায় করার পর ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে সূর্যকুমার যাদবকে আবরার আহমেদের ক্যাচ বানিয়েছেন হারিস রউফ। ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দেওয়া ভারত অধিনায়ক ৩ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি। ওভারটায় মাত্র ১ রান দিয়েছে হারিস রউফ।
ভারত: ১৩ ওভারে ১২৬/৩
চার ওভারের মধ্যে তৃতীয় উইকেট পেয়ে গেল পাকিস্তান। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আবরার আহমেদ উড়িয়ে মারতে গিয়ে হারিস রউফের ক্যাচ হয়েছেন অভিষেক শর্মা। ১২৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল ভারত। উইকেট পেয়েও অবশ্য তেমন উদ্যাপন করেননি আবরার। ম্যাচটা যে এখনো ভারতের নিয়ন্ত্রণে।
আউট হওয়ার আগের বলেই বিশাল এক ছক্কা মেরেছিলেন অভিষেক। ৩৯ বলে ৭৪ রান করা অভিষেকের সেটি ছিল পঞ্চম ছক্কা।
৪২ বলে ৪৬ রান দরকার ভারতের।
ফাহিম আশরাফের করা ১৪তম ওভারে ৬ রান তুলেছে ভারত। তাতে জয়ের সঙ্গে ব্যবধানটা ৪০–এ নেমেছে। ব্যাট করছেন তিলক বর্মা ও সঞ্জু স্যামসন।
শূন্য রানে আউট হয়ে ২০ বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। সূর্যর আগে ভারতের সর্বশেষ অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। ২০০৫ সালে কোচির সেই ওয়ানডেতে প্রথম বলে আউট হয়েছিলেন গাঙ্গুলী।
ভারত: ১৭ ওভার ১৫৩/৪
চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে ভারত। হারিস রউফ বোল্ড করেছেন সঞ্জু স্যামসনকে। ১৭ বলে ১৩ রান করেছেন ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ১৪৮ রানে চতুর্থ উইকেচ খোয়ালো ভারত। ব্যাটিংয়ে নেমেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে বোলিং কোটা পূর্ণ করলেন হারিস রউফ।
ম্যাচ জিততে ১৮ বলে ১৯ রান দরকার ভারতের।
ফাহিম আশরাফের শেষ ওভারে ১০ রান তুলেছে ভারত। দ্বিতীয় বলে বিশাল এক ছক্কা মেরেছেন তিলক বর্মা। ভারতীয় ইনিংসে এটি ষষ্ঠ ছক্কা। শেষ দুই ওভারে ৯ রান দরকার ভারতের।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত–পাকিস্তান দ্বৈরথে এর আগে টানা পাঁচ ম্যাচের বেশি জেতেনি কেউ। দুবাইয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা প্রতিবেশীদের বিপক্ষে টানা ষষ্ঠ ম্যাচ জিতে নতুন ইতিহাস গড়ল ভারত।
১৭২ রানের লক্ষ্যটা ৭ বল হাতে রেখেই জিতেছে ভারত। টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডও গড়েছে ভারত। আগের রেকর্ডটা ১৬০, ২০২২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মেলবোর্নে।
আজ রান তাড়ায় ভারতের উদ্বোধনী জুটিই ৯.৫ ওভারে তুলে ফেলে ১০৫ রান। ফিফটি থেকে ৩ রান দূরে থেকে বিদায় নেন শুবমান গিল। এরপর ৩ ওভারের মধ্যে ১৮ রানে পাকিস্তান ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিল। তবে তিলক বর্মা সঞ্জু স্যামসন ও হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নিয়ে যান ভারতকে। ভারতের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেছেন ওপেনার অভিষেক শর্মা।
টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের পরের ম্যাচ মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। পরের দিন ভারত খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭১/৫ (সাহিবজাদা ৫৮, সাইম ২১, নেওয়াজ ২১, ফাহিম ২০*; দুবে ২/৩৩)।
ভারত: ১৮.৫ ওভারে ১৭৪/৪ (অভিষেক ৭৪, গিল ৪৭, বর্মা ৩০*; রউফ ২/২৬)।
ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী।