
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন শেষে)দক্ষিণ আফ্রিকা: ৮১.৫ ওভারে ২৪৭/৬ (স্টাবস ৪৯, বাভুমা ৪১, মার্করাম ৩৮, রিকেলটন ৩৫; কুলদীপ ৩/৪৮)।
ব্যাটিংয়ে ‘শুরুটা’ ভালো হওয়া জরুরি, কিন্তু ‘শেষটা’ ভালো হওয়া তার চেয়েও বেশি জরুরি।
গুয়াহাটি টেস্টের প্রথম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু দিনের শেষটা মনে হয় না তাদের মনমতো হয়েছে। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা উইকেটে এলেন, দেখলেন, থিতুও হলেন—কিন্তু কেউই নিজের ইনিংসটাকে বড় করতে পারলেন না। দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে তাই ৬ উইকেটে ২৪৭ রান।
মাত্র প্রথম দিন শেষ হলো, তাই একেবারে খারাপও বলা যাবে না। তবে বিনা উইকেটে ৮২ রান করা দলের জন্য এটা খুব ভালোও বলা যাচ্ছে না। ভারতের হয়ে বাঁ হাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব নিলেন ৩ উইকেট। আর যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজা পেলেন ১টি করে।
শুরুতে কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বুমরার বলে দ্বিতীয় স্লিপে লোকেশ রাহুল যখন এইডেন মার্করামের ক্যাচ ছাড়েন, তাঁর রান মাত্র ৪। জীবন পেয়ে মার্করাম রায়ান রিকেলটনকে নিয়ে প্রথম ঘণ্টায় যোগ করলেন ৩৪ রান।
উইকেটে বাউন্স ছিল, স্পিনও ধরছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার দেখে মনে হচ্ছিল, প্রথম সেশনটা তাঁরা নির্বিঘ্নেই পার করে দেবেন। কিন্তু চা বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে সেই বুমরাই ফেরালেন মার্করামকে (৩৮)। বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে ইনসাইড-এজ হয়ে বোল্ড! ৮২ রানে ১ উইকেট নিয়ে বিরতিতে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
বিরতি থেকে ফিরেই আঘাত হানলেন কুলদীপ। ৩৫ রানে থামল রিকেলটনের ইনিংস। এরপর শুরু হয় প্রোটিয়াদের প্রতিরোধের দেয়াল গড়ার কাজ। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা আর তরুণ ট্রিস্টান স্টাবস মিলে ভারতীয় বোলারদের ভালো পরীক্ষা নিলেন। বাভুমা তো সিরাজের এক ওভারেই পরপর দুই চার মেরে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি সহজে হাল ছাড়বেন না। এর মধ্যেই অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ১০০০ রানের মাইলফলকও স্পর্শ করলেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়াল ১৫৬/২।
৮৪ রানের জুটি যখন ভারতকে ভোগাচ্ছে—ঠিক তখনই ধৈর্য হারালেন বাভুমা। জাদেজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৪১ রানেই থামল তাঁর ইনিংস। অন্যদিকে হাফ সেঞ্চুরির একেবারে দোরগোড়ায় গিয়ে (৪৯) কুলদীপের ঘূর্ণিতে দিশা হারালেন স্টাবস। এরপর উইয়ান মুল্ডারও বেশিক্ষণ টিকলেন না।
শেষ বিকেলে টনি ডি জর্জি কিছুটা হাত খুলে খেলার চেষ্টা করলেন, কুলদীপের এক ওভারে একটা করে চার-ছক্কাও মারলেন। অন্য প্রান্তে সেনুরান মুতুসামি দিলেন ভালো সঙ্গ, ওয়াশিংটন সুন্দরকে মারলেন দুটি বাউন্ডারি। কিন্তু দিনের একেবারে শেষ ওভারে নতুন বল হাতে নিয়ে সিরাজ যখন জর্জিকে ফিরিয়ে আক্ষেপ বাড়ালেন দক্ষিণ আফ্রিকার।