
ব্রেন্ডন টেলরের টেস্ট অভিষেক ২০০৪ সালের ৬ মে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারারেতে। এখনো টেস্ট খেলে যাচ্ছেন—এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে তাঁর অভিষেক সবার আগে হয়েছে।
অবশেষে ক্রিকেটে ফিরলেন ব্রেন্ডন টেলর। আইসিসির দুর্নীতি দমন আইন ও ডোপিংবিরোধী নিয়ম ভাঙার দায়ে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সাড়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন এই জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান।
সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে টেলরের নতুন জীবন শুরু হলো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ বুলাওয়েতে শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে। এমনিতে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও ফেরার টেস্টে টেলর খেলছেন ওপেনার হিসেবে।
টেলরের টেস্ট অভিষেক ২০০৪ সালের ৬ মে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারারেতে। এখনো টেস্ট খেলে যাচ্ছেন—এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে তাঁর অভিষেক সবার আগে হয়েছে। এখন তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের বয়স ২১ বছর ৯৩ দিন। টেস্টে দীর্ঘতম ক্যারিয়ার হিসাব করলে এটি ১২তম। তাঁর আগে থাকা ১১ জনের মধ্যে শুধু ব্রায়ান ক্লোজ, শচীন টেন্ডুলকার ও সিড গ্রেগরির ক্যারিয়ারই বাইরের কোনো কারণ ছাড়া এতটা দীর্ঘ হয়েছে।
আজ বুলাওয়ে টেস্ট খেলতে নামার মধ্য দিয়ে মুশফিকের রহিমকে ছাড়িয়ে গেছেন টেলর। গত বছরের জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের জিমি অ্যান্ডারসনের অবসরের পর বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে এত দিন সবচেয়ে দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ার ছিল মুশফিকের (২০ বছর ৩৩ দিন)। বাংলাদেশের উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যানকে আজ পেছনে ফেললেন টেলর।
টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে দীর্ঘতম ক্যারিয়ারের মালিক উইলফ্রেড রোডস। তবে তাঁর ক্যারিয়ার এতটা দীর্ঘ হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের ক্লোজের ক্যারিয়ার অবশ্য দীর্ঘ হয়েছে ক্রিকেটীয় কারণেই। ১৯৪৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকের পর কখনোই দলে থিতু হতে পারেননি। ১৯৬৫ সালে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হওয়াটাও অনেকটা পাকেচক্রেই, ৭ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জিতেছিলেন ৬টিতেই, ড্র ১টিতে। এরপর আবার দল থেকে বাদ পড়েন। কেরি প্যাকারের ওয়ার্ল্ড সিরিজের কারণে ১৯৭৬ সালে ফিরে আসার সময় ক্লোজের বয়স কত ছিল, জানেন? ৪৫!
এই তালিকায় থাকা জন ট্রাইকোস খেলেছেন দুই দলের হয়ে। মিসরে জন্ম নেওয়া এই ক্রিকেটারের অভিষেক হয় দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। ১৯৭০ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্ট খেলার পর এই সংস্করণে দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় মাঠে নামার সুযোগ পাননি সাবেক এই অফ স্পিনার। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই সিরিজের পরই বর্ণবাদের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ট্রাইকোস এ সময় জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলা শুরু করেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ বিশ্বকাপেও প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৯২ সালে জিম্বাবুয়ে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর সে বছর অক্টোবরে হারারেতে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলেন ট্রাইকোস। সেটি ছিল ২২ বছর ২২২ দিন পর তাঁর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার ম্যাচ।