মূল স্পনসর ছাড়াই এশিয়া কাপে খেলতে নামবে ভারত
মূল স্পনসর ছাড়াই এশিয়া কাপে খেলতে নামবে ভারত

এশিয়া কাপে স্পনসর নেই ভারত দলের

সম্প্রতি ভারতে অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধের বিল পাস হয়। ফলে ভারতীয় দলের মূল পৃষ্ঠপোষক ড্রিম১১ বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে।

অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম ড্রিম১১ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে চুক্তি বাতিল করায় আসন্ন এশিয়া কাপে প্রধান পৃষ্ঠপোষক (স্পনসর) ছাড়াই খেলতে নামবেন সূর্যকুমার যাদব, যশপ্রীত বুমরা ও হার্দিক পান্ডিয়ারা।

নতুন পৃষ্ঠপোষক বেছে নিতে আজ দরপত্র আহ্বান করেছে বিসিসিআই। সেখানে বলা হয়েছে, আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অফেরতযোগ্য ৫ লাখ রুপি দিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবেদনপত্র নিতে চাইলে দিতে হবে ৫ হাজার ৬৭৫ ডলার।

দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৬ সেপ্টেম্বর। নতুন পৃষ্ঠপোষক বেছে নেওয়া এবং সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে বিসিসিআইয়ের আরও কয়েক দিন লেগে যেতে পারে।

এদিকে এশিয়া কাপ শুরু হয়ে যাবে ৯ সেপ্টেম্বর। ভারত নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর। তাই সূর্যকুমারের দলের জার্সিতে মূল পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের লোগো দেখা যাবে না।

বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ড্রিম১১

সম্প্রতি ভারতে অনলাইন গেমিং বিল অনুমোদন করা হয়। দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সেই বিলে সই করলে অনলাইন মানি গেমিং (টাকা পরিশোধ করে খেলা) নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এতে ড্রিম১১ আর্থিকভাবে বড় ধাক্কা খায়। তাই ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ থাকলেও তারা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হয়।

নতুন পৃষ্ঠপোষক নির্বাচনের আমন্ত্রণে বিসিসিআই এবার স্পষ্ট জানিয়েছে, মদ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান, বাজি বা জুয়ার সাইট, ক্রিপ্টোকারেন্সি (ভার্চুয়াল মুদ্রা), অনলাইন মানি গেমিং, তামাকজাত পণ্য কিংবা জনসমাজের নৈতিকতাকে আঘাত করতে পারে (যেমন—পর্নোগ্রাফি), এমন কোনো প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে না।

চুক্তির মাঝপথে মূল পৃষ্ঠপোষকের সরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বিসিসিআইয়ের জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে চায়নিজ মুঠোফোন কোম্পানি ওপো ২০১৯ সালে চুক্তির মেয়াদ তিন বছর বাকি থাকতেই সরে যায়।

এশিয়া কাপ ক্রিকেটে রেকর্ড আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত

এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে ৪ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে রওনা হবে ভারতীয় দল। ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিক আমিরাত ছাড়াও দলটির প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও ওমান। ‘বি’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও হংকং।

প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সুপার ফোরে উঠবে। সুপার ফোরের সেরা দুই দল ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনালে মুখোমুখি হবে।