রশিদ খান ও সাকিব আল হাসান।
রশিদ খান ও সাকিব আল হাসান।

টি-টোয়েন্টিতে উইকেট শিকারের চূড়ায় রশিদ, সাকিব কত নম্বরে

একটা সময় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন সাকিব আল হাসান। রশিদ খান, টিম সাউদিরা তালিকায় সাকিবের নিচেই ছিলেন। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির মুকুট নিয়ে সাকিব ও সাউদির মধ্যে লড়াইও চলেছে। তবে এসব এখন অতীত।

কাল শারজায় ত্রিদেশীয় সিরিজে আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন উইকেট নেওয়ার পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হয়ে গেছেন রশিদ।

টি-টোয়েন্টিতে রশিদের উইকেট এখন ১৬৫টি। মাত্র ৯৮ ম্যাচ খেলেই শীর্ষে উঠেছেন এই লেগ স্পিনার। ১২৬ ম‍্যাচে ১৬৪ উইকেট নিয়ে এত দিন শীর্ষে ছিলেন সাউদি।
সাকিব প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হন ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেবার সাকিব ছাড়িয়ে যান শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে।

দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির মুকুট নিয়ে সাকিব ও সাউদির মধ্যে লড়াই চলেছে।

এক বছর পর ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিবের ১২২ উইকেট ছাড়িয়ে যান নিউজিল্যান্ডের সাউদি। সাকিব আবার সাউদিকে ছাড়িয়ে যান ২০২৩ সালের মার্চে, আয়ারল্যান্ড সিরিজে। সেই বছরের আগস্টে আবার সাকিবকে ছাড়ান সাউদি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বোলার হিসেবে ১৫০ উইকেটের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন এই পেসার। দুজনের এই লড়াইয়ের সময়টাতে ৩ নম্বরেই ছিলেন রশিদ।

রশিদের শীর্ষে ওঠাটা অবশ্য অনুমেয়ই ছিল। টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া সাকিবের উইকেট ১৪৯টি। সাকিব ও সাউদি দুজনই সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। যে কারণে রশিদের রাস্তাটা মসৃণই ছিল।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হয়ে গেছেন রশিদ।

সাকিব অবশ্য এখন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় তিনেও নেই। ১৫০ উইকেট নিয়ে তিনে আছেন কিউই স্পিনার ইশ সোধি। সাকিবের অবস্থান চারে, ১৪২ উইকেট নিয়ে মোস্তাফিজ আছেন পাঁচে। মোস্তাফিজের সামনে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দেড় শ উইকেট নেওয়ার সুযোগ আছে।

কাল রশিদের কীর্তির দিনে তাঁর দল আফগানিস্তান জিতেছে ৩৮ রানে। টসে হেরে আগে ব্যাটিং করা আফগানিস্তান তুলেছিল ১৮৮ রান। রশিদ ও বাঁহাতি স্পিনার শরাফউদ্দিন আশরাফের বোলিংয়ে আর আমিরাত গুটিয়ে গেছে ১৫০ রানে।