বাংলাদেশ–আফগানিস্তান তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সবাইকে স্বাগত। আজ আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। এর আগে টি–টোয়েন্টি সিরিজ ৩–০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
তানজিদ হাসান, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, নুরুল হাসান, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান।
আফগান অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে জীবন পেয়েছিলেন তানজিদ। ওমরজাইর শর্ট বলটি পুল করে স্কয়ার লেগে পাঠান তানজিদ। সেখানে ফিল্ডিং করা রহমত শাহ তানজিদের সহজ ক্যাচ ছাড়েন।
এর এক বল পরই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ ওপেনার। হার্ড লেংথে করা ওমরজাইয়ের বলটি তানজিদের ব্যাটের বাইরের কানায় লাগে। উইকেটের পেছনে থাকা রহমানউল্লাহ গুরবাজ সহজ ক্যাচটি লুফে নেন। ১০ রান করেছেন তানজিদ।
বাংলাদেশের রান ৪ ওভারে ১ উইকেটে ১৯ রান। উইকেটে এসেছেন নাজমুল হোসেন।
২ রান করে ফিরলেন নাজমুল। ওমরজাইর বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিলেন এই বাঁহাতি। সহজ ক্যাচটি নিয়েছেন হাশমতউল্লাহ শহীদি। উইকেটে এসেছেন তাওহিদ হৃদয়।
বাংলাদেশের রান ৫.৩ ওভারে ২ উইকেটে ২৬ রান।
ওয়ানডে অভিষেকেও দারুণ খেলছেন সাইফ। ১০ ওভার শেষে অপরাজিত আছেন ২৬ রানে। হৃদয় অপরাজিত আছেন ১১ রানে। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৫১।
বাঁহাতি স্পিনার নানগেইয়ালিয়া খারোতির অফ স্টাম্পের বাইরে হাওয়ায় ভাসানো বলটিতে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন সাইফ। ঠিকভাবে ব্যাটে পাননি। লং অফে সাইফকে আউট করতে দুর্দান্ত ক্যাচটি নিয়েছেন রশিদ খান।
বাংলাদেশের রান ১৩ ওভারে ২ উইকেটে ৫৫।
সাইফের বিদায়ের পর ইনিংস পুনর্গঠনে মনযোগ দিয়েছেন মিরাজ ও হৃদয়। মিরাজ অপরাজিত ১৭ রানে, হৃদয় ২৩ রানে।
২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৮০।
বাংলাদেশ: ২৬ ওভারে ১০৬/৩।
ইনিংসের ২৬তম ওভারের প্রথম বলে ১০০ রানের ঘর ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। রশিদ খানের বলে তাওহিদ হৃদয়ের বলে পূর্ণ হয়েছে দলগত এক শ।
উইকেটে টিকে থাকার চেষ্টায় বেশ রয়েসয়ে খেলছেন হৃদয় ও মিরাজ। এরই মধ্যে তাঁদের জুটির ফিফটি হয়ে গেছে।
মিরাজ ৪৮ বলে ৩১ আর হৃদয় ৫৭ বলে ৩৪ রানে ব্যাট করছেন।
৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে ৩ উইকেটে ১৩১ রান। উইকেটে আছেন দুই সেট ব্যাটসম্যান হৃদয় ও মিরাজ। দুজনেই আছেন ফিফটির কাছাকাছি। প্রথম ইনিংসে কত রান তুলতে পারে বাংলাদেশ?
ওয়ানডেতে টানা তিন ফিফটি পেলেন হৃদয়। আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিফটির আগে গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডেতেও ফিফটি করেছিলেন হৃদয়। এটি ওয়ানডেতে হৃদয়ের দশম ফিফটি।
৭৪ বলে ফিফটি পেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি মিরাজের সপ্তম ফিফটি। মিরাজের সঙ্গে হৃদয়ের জুটি এখন ৯৪ রানের।
বাংলাদেশের রান ৩৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১৪৭।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো শতরানের জুটি গড়েছিল বাংলাদেশ দল। তবে সেই জুটি বেশিদূর এগোয়নি। মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়েছেন হৃদয়। খারোতির বলে কাভারে ঠেলে এক রান নিতে চেয়েছিলেন হৃদয়। শুরুতে থেমে গেলেও হাশমতউল্লাহ শহীদি মিসফিল্ডিং করলে আবার রান নিতে ছোটেন হৃদয়। মিরাজ সাড়া দেননি।
৫৬ রান করে ফিরেছেন হৃদয়। উইকেটে এসেছেন জাকের আলী।
বাংলাদেশের রান ৩৬ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৬।
রিভিউটা হয়তো নেওয়ার জন্যই নিয়েছেন মিরাজ! কোনো কাজে আসেনি।
রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৬০ রান করে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ওয়ানডেতে এটি রশিদের দুই শ নম্বর উইকেট। ১১৫তম ওয়ানডেতে দুইশ উইকেটের দেখা পেলেন রশিদ, যা পঞ্চম দ্রততম। স্পিনারদের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম।
বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৭৬।
রশিদের গুগলি পড়তে পারলেন না জাকের। পেছনের পায়ে আটকে থেকে হালকা করে ব্যাট সামনে বাড়ালেও বলের লাইনের কাছেও যেতে পারেননি। বল লাগে পায়ে। জাকের রিভিউ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। ১০ রানে করে ফিরেছেন জাকের।
বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৭৯।
বোলিং কোটার শেষ ওভারে এসে উইকেটে থাকা একমাত্র বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান নুরুল হাসানকে ফেরালেন রশিদ। মিরাজ ও জাকেরের পর তিনিও ফিরেছেন এলবিডব্লিউ হয়ে। নুরুল করেছেন ৭ রান। ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন রশিদ।
বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ২০০।
পরপর দুই ওভারে ফিরলেন হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান। ৪৭তম ওভারে আল্লাহ গজনফরের বলে হাসান ফেরার পর ওমরজাইয়ের বাউন্সারে আউট হয়েছেন তানজিম।
বাংলাদেশের রান ৯ উইকেটে ২০৬ রান।
সংগ্রহটা আরও বড় হতে পারত। কারণ ৩৫.২ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ৩ উইকেটে ১৫৪। উইকেটে থাকা হৃদয় ও মিরাজ দুজনেই তখন বড় ইনিংস খেলার পথে। জুটিও ছাড়িয়েছিল একশ। এমন সময়ে হৃদয়ের রানআউট ও রশিদের টানা তিন উইকেটে বড় সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ দল। ৪৮.৫ ওভারে গুটিয়ে গেছে ২২১ রানে। মিরাজ ও হৃদয় পেয়েছেন ফিফটি। সর্বোচ্চ ৬০ রান এসেছে মিরাজের ব্যাট থেকে।
আফগানিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন রশিদ ও ওমরজাই।
লক্ষ্য ২২২ রানের। ওয়ানডেতে এটিকে এখন ছোট সংগ্রহই বলতে হবে। ছোট সংগ্রহ ছোঁয়ার লক্ষ্যে ভালো শুরু পেয়েছেন আফগান দুই ওপেনার। ইনিংসের প্রথম ৫ ওভার শেষে ৩০ রান তুলেছেন আফগান দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান।
জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনার তানভীর ইসলাম। সেই তানভীরই আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম উইকেট এনে দিয়েছেন। ২৩ রানে ফিরেছেন জাদরান।
১০ ওভারে আফগানিস্তানের রান ১ উইকেটে ৫৩।
এবার বাংলাদেশকে উইকেট দিলেন তানজিম। তিন নম্বরে উইকেটে আসা সেদিকউল্লাহ আতালকে স্লিপে থাকা তানজিদের ক্যাচে পরিণত করেছেন তানজিম।৫ রান করেছেন সেদিকউল্লাহ। আফগানিস্তানের রান ২ উইকেটে ৫৮ রান।
৬ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে আফগানিস্তান। জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রহমত শাহ। ১৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তাঁদের রান ৭২।
পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে গুরবাজ–রহমতের জুটি। বাউন্ডারি খুব বেশি আসছে না। তবে দলকে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ২৪ ওভারে আফগানিস্তানের দরকার ১১২ রান।
আফগানিস্তান: ৩১ ওভারে ১৩৬/৩
১৮ ওভার পর উইকেট পেল বাংলাদেশ। পেসার তানজিম হাসান ফিরিয়েছেন রহমত শাহকে। তাতে ভেঙেছে গুরবাজ–রহমতের ৭৮ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। ৩১তম ওভারে ১৩৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল আফগানরা। ৭০ বলে ৫০ রান করা রহমত শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজকে।
১৯ ওভারে ৮৬ রান দরকার আফগানিস্তানের।
অবশেষে জুটিটা ভাঙতে পেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু তা হয়তো কিছুটা দেরিই হয়ে গেল। তানজিম হাসানের বলে তানভীরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ৪৪ বলে ৪০ রান করা আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ভেঙেছে তাঁর সঙ্গে হাশমতউল্লাহ শাহীদির ৭০ বলে ৫৯ রানের জুটি।
২২১ রান তাড়ায় ৪৫ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৮ রান করেছে আফগানিস্তান। শেষ ৩০ বলে দরকার ১৪ রান। উইকেটে আছেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ ও মোহাম্মদ নবী।
৪৮তম ওভারে বোলিং করতে আসা সাইফ হাসানকে প্রথম বলেই লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কা মারলেন মোহাম্মদ নবী। এই ছক্কাতেই আফগানিস্তানের কাজ সুসম্পন্ন!
বাংলাদেশে করা ২২১ রান আফগানরা টপকে গেল ১৭ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই।
রান তাড়ায় আফগানিস্তান বড় কোনো চ্যালেঞ্জে পড়েনি। তিনটি পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিই দলের জয়কে সহজ করে দিয়েছে।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ–ইব্রাহিম জাদরানের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫২ রান। এরপর তৃতীয় উইকেটে গুরবাজ ও রহমত শাহর জুটিতে ৭৮ রান। এক পর্যায়ে ৫ বলের মধ্যে দুই উইকেটের পতন ঘটলেও আবার পঞ্চাশের বেশি রানের জুটি হয় পঞ্চম উইকেটে, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হাশমতউল্লাহর মধ্যে (৫৯)।
এই তিনটি জুটিই আফগানিস্তানের জয়ের মূলে। যে জয় তাদের তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে দিল। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে শনিবার।
বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২২১ (মিরাজ ৬০, হৃদয় ৫৬, সাইফ ২৬; রশিদ ৩/৩৮, ওমরজাই ৩/৪০, গজনফর ২/৫৫)। আফগানিস্তান: ৪৭.১ ওভারে ২২৬/৫ (গুরবাজ ৫০, রহমত ৫০, ওমরজাই ৪০, শহীদি ৩৩*, জাদরান ২৩; তানজিম ৩/৩১)। ফল: আফগানিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আজমতউল্লাহ ওমরজাই।