পাল্লেকেলেতে আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। সিরিজে আপাতত ১–১ এ সমতায় দুই দল।
তৃতীয় ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের শেষ খবর জানতে ক্লিক করুন নিচের লিংকে।
ক্যান্ডিতে আজ সিরিজ জয়ের ম্যাচ
পাল্লেকেলেতে আছে বৃষ্টির চোখরাঙানিও। জানতে হলে নিচের লিংকে ক্লিক করে পড়তে পারেন—
পাল্লেকেলে স্টেডিয়াম থেকে পাঠানো প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদক তারেক মাহমুদের কিছু ছবিতে অবশ্য দেখা যাচ্ছে সেখানকার আকাশ পরিস্কার ও আবহাওয়া রৌদ্রজ্জ্বল।
দুই দলের জন্যই ভালো খবর।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চারিত আসালঙ্কা। পাল্লেকেলের উইকেটে আগে ব্যাট করে ন্যূনতম ২৮০ রান তোলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কা দলের একাদশে কোনো পরিবর্তন নেই।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ টসের সময় জানিয়েছেন, একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে একাদশে। ফিরেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ, বাদ পড়েছেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ।
নিশান মাদুস্কা, পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিত আসালঙ্কা (অধিনায়ক), জানিত লিয়ানাগে, দুনিত ভেল্লালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহীশ তিকশানা, দুষ্মন্ত চামিরা ও আসিতা ফার্নান্ডো।
শ্রীলঙ্কা: ১ ওভারে ৭/০।
প্রথম ওভার করলেন তাসকিন। চতুর্থ বল একটু বাইরে করায় স্কয়ার কাটে চার মারেন নিশাঙ্কা। দুটি স্লিপ নিয়ে বোলিং শুরু করে হালকা সুইং পেয়েছেন তাসকিন।
শ্রীলঙ্কা: ২ ওভারে ১২/০
তানজিমের করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে কাভার ড্রাইভে চার মারেন নিশাঙ্কা। এই ওভারে ৬ রান দিয়েছেন তানজিম।
শ্রীলঙ্কা: ৩.১ ওভারে ১৩/১
চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই উইকেট পেলেন তানজিম। একটু উঠে আসা বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি মাদুস্কা। স্লিপে নাজমুলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন।
৬ বলে ১ রানে ফিরলেন মাদুস্কা।
তিনে নেমেছেন কুশল মেন্ডিস।
৫ ওভারের খেলা শেষ হয়েছে। শ্রীলঙ্কা উইকেট হারিয়েছে, তবে রানও একেবারে কম আসেনি। ২৬ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। মাদুস্কার বিদায়ের পর এখন উইকেটে আছেন পাথুম নিশাঙ্কা (১২) ও কুশাল মেন্ডিস (১২)।
মাঝপথে এসে উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে বাকি সময়টা ছিল শ্রীলঙ্কার। কুশাল মেন্ডিস আর পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাটে এগোচ্ছে তারা। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৫১ রান তুলেছে স্বাগতিকরা, উইকেট ওই একটিই।
শ্রীলঙ্কা: ১৫ ওভারে ৬৯/২
আগের ম্যাচে পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। এবার প্রথম ৪ ওভার উইকেটশূন্য। তানভীর উইকেট পেলেন নিজের পঞ্চম ওভারে এসে। তাঁকে সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন পাথুম নিশাঙ্কা। তাতে ভেঙেছে মেন্ডিসের সঙ্গে তাঁর ৫৬ রানের জুটি।
আবার জুটি গড়ছে শ্রীলঙ্কা। এবার কুশলের সঙ্গী কামিন্দু মেন্ডিস। নিশাঙ্কার বিদায়ের পর ২৩ বলে ১৮ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা।
১০০ পেরিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। দুটি উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। কামিন্দু মেন্ডিস হাফ সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি আছেন। তাঁর সঙ্গী কামিন্দু ১৬ বলে অপরাজিত ১৬ রানে।
শ্রীলঙ্কার জুটিগুলো বড় হতে দিচ্ছে না বাংলাদেশ। এবার কামিন্দু ও কুশল মেন্ডিসের ৩৮ বলে ৩১ রানের জুটি ভেঙে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁর বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরেছেন ২০ বলে ১৬ রান করা কামিন্দু।
শ্রীলঙ্কা: ২৪ ওভারে ১১৬/৩
হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন কুশল মেন্ডিস। নিশাঙ্কা ও কামিন্দুর সঙ্গে জুটি বড় করতে পারেননি। তবে নিজে একপ্রান্তে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৬তম হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি।
এদিকে দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসেছেন তানজিম হাসান। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেওয়া এই পেসার আগের ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ২১ রান।
শ্রীলঙ্কা: ৩০ ওভারে ১৪৭/৩
তানভীর বল হাতে নিতেই ধারাভাষ্যে শুরু হয় তাঁর প্রশংসা। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন। আজও মন্দ করেননি। প্রথম ৬ ওভারে ৩৩ রান দিয়েছেন। এবার নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসেছেন এই স্পিনার। তাঁর পরের ওভারে এসেছেন শামীম হোসেনও, আগের ম্যাচেই ওয়ানডেতে নিজের প্রথম উইকেট পেয়েছিলেন শামীম।
আসালাঙ্কা–কামিন্দুর জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেছে। এই মুহূর্তে একটি উইকেট দরকার বাংলাদেশের, সেটি কি তানভীর–শামীম এনে দিতে পারবেন?
শ্রীলঙ্কা: ৩৪ ওভারে ১৮৩/৩
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঝের ওভারগুলোতে শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরেছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। আজ তা হচ্ছে না। উল্টো থিতু হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটসম্যান আসালাঙ্কা ও মেন্ডিস বাউন্ডারি আনছেন নিয়মিত। শামীম হোসেন তাঁর দুই ওভারে ১৫ রান দিয়েছেন। তানভীরও দ্বিতীয় স্পেলে এসে নিজের দুই ওভারে ১৫ রান দিয়েছেন।
শামীমকে সরিয়ে দিয়ে তানভীরকে অন্য প্রান্ত থেকে আনা হয়েছে, বোলিংয়ে এসেছেন তানজিম। এক শর দিকে ছুটে যাওয়া জুটি কে ভাঙবেন সেটিই এখন দেখার।
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে দৌড়ে এক রান নিয়ে পূরণ করলেন ফিফটি। কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে তাঁর জুটি তাতে হয়ে যায় এক শ। শ্রীলঙ্কার রানও দুই শতে পৌঁছে যায়। এর দুই বল পরই দুর্দান্ত খেলতে থাকা কুশল মেন্ডিস সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ওয়ানডেতে এটি তাঁর ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়। ২০১৭ সালে ডাম্বুলায় আগের সেঞ্চুরিটি করেছিলেন তিনি।
চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সব সংস্করণ মিলিয়ে ২ হাজার রান পূর্ণ করেছেন কুশল মেন্ডিস। বাকি তিনজন হলেন— কুমার সাঙ্গাকারা (৩০৯০), ব্রেন্ডন টেলর (২৮৭৩) ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (২৪৪৯)।
শ্রীলঙ্কা: ৪১ ওভারে ২২৫/৪
দুজনের জুটি ১০০ পেরিয়েও ছুটছিল। একজন হাফ সেঞ্চুরি, অন্যজন করে ফেলেছেন সেঞ্চুরি। শেষ দশ ওভারে রানের লাগাম টেনে ধরতে উইকেট নেওয়ার বিকল্প ছিল না। তা এল তাসকিনের ওভারে। ফুলটস বল তুলে মারতে চাইলেও ঠিকঠাক পারেননি আসালাঙ্কা। লং অন থেকে একটু দৌড়ে এসে ক্যাচটা নেন মিরাজ। ১১৭ বলে ১২৪ রানের জুটি ভাঙে মেন্ডিস ও আসালাঙ্কার।
শ্রীলঙ্কা: ৪৬ ওভারে ২৫৬/৬
মিরাজের বল ব্যাকফুটে এসে মিডউইকেটের দিকে খেলেন লিয়ানাগে। শটটা তিনি ঠিকঠাকই খেলেছিলেন, কিন্তু রানের জন্য দৌড় শুরুর করার আগেই তাঁর পা গিয়ে লাগে স্টাম্পে। বাকিরা টের পাওয়ার আগেই ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা ধরেন লিয়ানাগে— হিট উইকেট হয়ে আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে ১২ রান করেছিলেন তিনি।
ইনিংসের বাকি ৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার বড় ভরসা ছিলেন কুশল মেন্ডিস। কিন্তু তিনিও আউট হয়ে গেছেন শামীমের করা পরের ওভারে। পেছনের দিকে অনেকটুকু দৌড়ে নিজের বলে নিজেই দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন শামীম। ১১৪ বলে ১২৪ রানে তিনি আউট হয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার তিন শ হওয়া এখন বেশ সংশয়েই পড়ে গেছে।
কুশল মেন্ডিস–চারিত আসালাঙ্কার জুটিতে এগোচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। তাঁদের তিন শ করাও খুব কঠিন মনে হচ্ছিল না তখন। আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে প্রথম বেক থ্রু এনে দেন তাসকিন। পরে ১০ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারিয়ে পুরোপুরি চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। শেষদিকে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুশমন্ত চামিরার ব্যাটে তারা যদিও ২৮৫ রান করতে পেরেছে।
এই ম্যাচ জিততে হলে অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। এর আগে ২০২৩ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৮০ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে জিতেছিল তারা। বাংলাদেশ জিতলে পাল্লেকেলেতেও কোনো দলের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান তাড়া হবে সেটি।
খেলায় এখন ইনিংস বিরতি। বাংলাদেশের সামনে ২৮৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংসের খেল শুরু হবে আধঘণ্টা পর। এই সময়ে ক্যান্ডি শহর নিয়ে পড়তে পারেন তারেক মাহমুদের লেখা। আজকের ম্যাচটি হচ্ছে ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে।
রান তাড়া শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে দুটি চারে বাংলাদেশকে ৯ রান এনে দিয়েছেন তানজিদ হাসান। পঞ্চম বলে এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন করলেও রিভিউ নেয়নি শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশ স্কোর: ৪ ওভারে ২০/২
আগের বল লেগেছিল তানজিদের প্যাডে। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নেয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, বলের পিচিং ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। ব্যর্থ রিভিউয়ের হতাশা পরের বলেই কেটে যায় আসিথা ফার্নান্দোর। ফুল লেন্থের বলে তানজিদকে বোল্ড করেন তিনি। ১৩ বলে ৩ চারে ১৭ রান এসেছিল বাংলাদেশি ওপেনারের ব্যাট থেকে।
তিন নম্বরে খেলতে নামা নাজমুলও বোল্ড হয়ে গেছেন। ৩ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি।
বাংলাদেশ স্কোর: ৮ ওভারে ৪৭/২
১ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর পারভেজ হোসেন ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তারা। যদিও খুব একটা স্বস্তিতে নেই দুই ব্যাটসম্যানও— কয়েকবারই ব্যাটের কানায় লেগে কিপারের পাশ দিয়ে বল গেছে বাউন্ডারিতে।
পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৫৫ রান করেছে বাংলাদেশ। তানজিদ ও নাজমুলকে হারানোর পর এখন দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন পারভেজ ও হৃদয়। পাওয়ার প্লের সময় বেশির ভাগ রান তারা বাউন্ডারি থেকেই এনেছেন। এখন ফিল্ডারদের ছড়িয়ে যাওয়ার পর রানের গতি ঠিক রাখতে পারেন কি না, কীভাবে খেলেন স্পিনারদের, সেটিই প্রশ্ন।
পাওয়ার প্লের পরের ওভারে সুবিধা করতে পারেননি পারভেজ। থিকসেনা ওভারটি মেডেন করেছেন।
পাওয়ার প্লের পরের ওভারই মেডেন দিয়েছিলেন। পরের দুই ওভারেও কোনো বাউন্ডারি আসেনি। স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ছিল। সেটি থেকে বের হতেই স্লগ সুইপে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন পারভেজ। তবে ডিপ মিডউইকেটে দাঁড়ানো নিশান মাদুস্কার হাতে গেছে বল। ৪৪ বলে ২৮ রান করে ফিরছেন পারভেজ। হৃদয়ের সঙ্গে ৫৮ বলে ৪২ রানের জুটি ছিল তাঁর।
আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৮৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। সেঞ্চুরি করেছেন কুশল মেন্ডিস। লঙ্কান এই ব্যাটসম্যান ছিলেন ‘ব্যাডবয়’। সনাৎ জয়াসুরিয়া তাঁকে কীভাবে পথে রাখছেন তা পড়তে পারেন তারেক মাহমুদের লেখায়।
৫০ ওভার ব্যাট করেছে শ্রীলঙ্কা। ৩৮ চার মারলেও কোনো ছক্কা আসেনি শ্রীলঙ্কার কারও ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের ইনিংসেও ২০ ওভারে কোনো ছক্কা ছিল না। অবশেষে ম্যাচের প্রথম ছক্কা এসেছে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে। চামিরার শর্ট বল মিডউইকেটের উপর দিয়ে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেছেন তিনি। হৃদয়ের সঙ্গে জুটিতে এখন দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আগের ওভারেই ম্যাচের প্রথম ছক্কা এসেছিল মিরাজের ব্যাট থেকে। পরের ওভারেই আবার তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন। ২৫ বলে ২৮ রান করে আউট হয়েছেন মিরাজ। হৃদয়ের সঙ্গে তাঁর ৪৩ রানের জুটি ভেঙে গেছে।
বাংলাদেশ স্কোর: ২৭ ওভারে ১২৪/৪। জয়ের জন্য ২৩ ওভারে ১৬২ রান দরকার বাংলাদেশের।
মিরাজের বিদায়ের পর জুটি বেঁধেছেন শামীম ও তাওহীদ হৃদয়। শামীমের বিরুদ্ধে একবার রিভিউ নিয়েও সফল হয়নি শ্রীলঙ্কা। হৃদয় কিছুটা ধীরগতিতে হলেও খেলছেন স্বাচ্ছন্দ্যেই।
যখন মনে হচ্ছিল, হৃদয়–শামীম জুটিতে বাংলাদেশ এগোচ্ছে ভালোভাবে— তখনই স্টাম্পিং হলেন শামীম। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়েছিলেন শামীম। কিন্তু বল যায় উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে, স্টাম্প তিনি ভাঙেন ব্যাটসম্যান ক্রিজে ফেরার আগেই। ১৮ বলে ১২ রান করে আউট হয়ে গেছেন শামীম।
আজ ১০ ওভারে ৫১ রান দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। এখন বেশির ভাগ ম্যাচেই তিনি রান কম দেন। কিন্তু তাসকিনই কি বিশ্বের সবচেয়ে কিপটে বোলার? পড়তে পারেন এই প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ স্কোর: ৩২ ওভারে ১৫৩/৬। জয়ের জন্য ১৮ ওভারে ১৩৩ রান দরকার বাংলাদেশের।
শুরু থেকেই দায়িত্ব নিয়ে খেলছেন তাওহীদ হৃদয়। তিনি পেয়েছেন ক্যারিয়ারের নবম হাফ সেঞ্চুরি। আগের ম্যাচেও ফিফটি পাওয়ার পর রান আউট হয়ে গিয়েছিলেন। আজও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৫১ রান করে চামিরার বলে বোল্ড হয়ে গেছেন হৃদয়।
আউট হয়ে গেছেন তানজিম হাসানও। ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। একমাত্র আশা এখন জাকের আলি। যদিও জয়ের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে শুধু কমছে।
আশা ছিল একদমই কম। তবে যা ছিল, তা জাকেরকে ঘিরেই। হারের ব্যবধান যা কমার, কমানোর কথা ছিল তাঁর। ওই আশাও শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের। ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হয়ে গেছেন ৩৫ বলে ২৭ রান করে। ৯ উইকেটে ১৮২ রান করা বাংলাদেশের জয়ের জন্য ৬৬ বলে দরকার ১০৪ রান।
তানভীর ইসলামের ক্যাচ মাদুশকা ধরতেই নিশ্চিত হলো ৯৯ রানের হার। ২৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়া কঠিনই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ লড়াইটুকুও করতে পারল না সেভাবে। বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৩৯.৪ ওভারে অলআউট হয়েছে ১৮৬ রানে।
পারভেজ–তানজিদের জুটিতে যদিও ইতিবাচক শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে তা লম্বা হয়নি। তানজিদ ফেরার পর শূন্য রানে বোল্ড হয়ে যান নাজমুল হোসেনও। এরপর পারভেজকে নিয়ে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন হৃদয়, সেটিও লম্বা হয়নি।
একপ্রান্তে ব্যাটসম্যানরা আসা–যাওয়া করলেও আরেক প্রান্তে হৃদয় ধরে খেলছিলেন। কিন্তু ৫১ রানে তিনি বোল্ড হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের আশাও প্রায় শেষ হয়ে যায়। হার দিয়ে সিরিজ শুরু করা বাংলাদেশ পরের ম্যাচ জিতে সমতায় ফেরে। শেষ ম্যাচটি হারায় ২–১ ব্যবধানে সিরিজ হারল তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৮৫/৭ (কুশল ১২৪, আসালাঙ্কা ৫৮, নিশাঙ্কা ৩৫, হাসারাঙ্গা ১৮*; মিরাজ ২/৪৮, তাসকিন ২/৫১, শামীম ১/৩০, তানজিম ১/৪১, তানভীর ১/৬১)।
বাংলাদেশ: ৩৯.৪ ওভারে ১৮৬ (হৃদয় ৫১, মিরাজ ২৮, পারভেজ ২৮, জাকের ২৭; আসিতা ৩/৩১, চামিরা ৩/৫১, ভেল্লালাগে ২/৩৩, হাসারাঙ্গা ২/৩৫)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ৯৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কুশল মেন্ডিস।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে শ্রীলঙ্কা ২–১ ব্যবধানে জয়ী।