বিপিএলে আজ বিকেলের মতো রাতের ম্যাচটাও একরকম একপেশেই হলো। চিত্রনাট্যটা একইরকম—শুরুতে অল্প রানে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সহজ জয়।
প্রথম দুই ম্যাচ হারা নোয়াখালী আজ রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে অধিনায়ক সৈকত আলীকে একাদশেই রাখেনি। কিন্তু নতুন অধিনায়ক হায়দার আলীর নেতৃত্বেও তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি নোয়াখালী। আগে ব্যাট করে পুরো ২০ ওভার খেললেও ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে তারা। সেই রান ১৭.৫ ওভারেই ৬ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে রাজশাহী।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নোয়াখালীর ব্যাটসম্যানরা হাত খুলে খেলতে পারেননি মোটেই। ২৭ বল খেললেও ২২ রানের বেশি করতে পারেননি মাহিদুল ইসলাম। আগের ম্যাচেও ধীর গতির ব্যাটিংয়ের পর তিনি জানিয়েছিলেন, উইকেটের আচরণ বুঝেই ওরকম ব্যাটিং করেছিলেন।
মাহিদুল ছাড়া নোয়াখালীর বাকি ব্যাটসম্যানরাও যে সুবিধা করতে পেরেছেন, তাও অবশ্য নয়। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করতে হায়দার আলী খেলেন ২৮ বল। তাদের দুজনের বাইরে আর একজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছান—১৯ বল খেলে ২৫ রান করেন মাজ সাদাকাত।
নোয়াখালীকে এত অল্পতে আটকে রাখার বড় কৃতিত্ব রাজশাহীর পেসার রিপন মণ্ডলের। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে রিপনের এটিই সেরা বোলিং। ২ উইকেট পেয়েছেন আরেক পেসার তানজিম হাসান।
১২৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় বলেই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানকে হারিয়ে ফেললেও জিততে খুব একটা সমস্যা হয়নি রাজশাহীর। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়ে সেই কাজটাকে সহজ করে দেন নাজমুল হোসেন ও তানজিদ হাসান।
তানজিদ ২৯ আর নাজমুল ২৪ রান আউট হয়ে যাওয়ার পর হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৫৪ বলে ৫২ রানের জুটিতে দলের জয় নিশ্চিত করেই তিনি মাঠ ছাড়েন। ২৬ বলে ২৩ রানে ইয়াসির আর ৩০ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।
নোয়াখালী এক্সপ্রেস: ২০ ওভারে ১২৪/৮ (হায়দার ৩৩, সাদাকাত ২৫, মাহিদুল ২২; রিপন ৪/১৩, তানজিম ২/৩১)।রংপুর রাইডার্স: ১৭.৫ ওভারে ১২৫/৪ (তানজিদ ২৯,মুশফিক ২৮; হাসান মাহমুদ ২/১৯)।ফল: রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ৬ উইকেটে জয়ী।ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রিপন মণ্ডল