আসিফ আকবরের মন্তব্য নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে বাফুফেকে চিঠি দিয়েছে বিসিবি।
আসিফ আকবরের মন্তব্য নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে বাফুফেকে চিঠি দিয়েছে বিসিবি।

আসিফের মন্তব্য নিয়ে বাফুফের কাছে দুঃখপ্রকাশ বিসিবির

ফুটবল ও ফুটবলারদের নিয়ে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবরের অবমাননাকর মন্তব্য নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) চিঠি দিয়েছে বিসিবি।

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বরাবর পাঠানো চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠানে যে তথাকথিত বক্তব্যটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, সেই বক্তব্যটি তিনি প্রদান করেছিলেন জেলা প্রতিনিধিত্বকারী কাউন্সিলর হিসেবে, একজন বোর্ড পরিচালক হিসেবে নয়। আমার জানা মতে, তিনি তাঁর নিজ জেলার ক্রিকেট কার্যক্রম ও মাঠ ব্যবহার–সংক্রান্ত কিছু দীর্ঘদিনের হতাশা ও জটিলতা থেকে ব্যক্তিগত ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভবত উক্ত বক্তব্য প্রদান করেছেন।’

আসিফের মন্তব্যের সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের সংশ্লিষ্টতা নেই, বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত সেই চিঠিতে এমন বার্তাও দেওয়া আছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত মতামত কখনোই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। আপনার অবগতির জন্য আমি সুদৃঢ়ভাবে আরও জানাতে চাই, বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স ২০২৫–এ প্রদানকৃত বক্তব্যটি ছিল সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি এবং সেটিকে বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের বক্তব্য হিসেবে বিবেচনা করা সম্ভব হবে না।’

আসিফের মন্তব্যের সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের সংশ্লিষ্টতা নেই, বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত চিঠিতে এমন বার্তাও দেওয়া আছে

পাশাপাশি এমন মন্তব্যের জন্য দুঃখও প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি, ‘যদি উক্ত বক্তব্যের কারণে ফুটবল পরিবার বা ভক্তদের মনে কোনো ধরনের আঘাত বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়ে থাকে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
এর আগে ১০ নভেম্বর আসিফের মন্তব্য নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিল বাফুফে।

এ মাসের শুরুর দিকে বিসিবির কনফারেন্সের উদ্বোধনী দিনে বক্তব্যে ক্রিকেটকে ‘আভিজাত্যের খেলা’ আখ্যা দেন আসিফ। একই সঙ্গে দেশের ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফুটবলারদের কারণে ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না দাবি করে আসিফ বলেছিলেন, ‘ফুটবলারদের কারণে গোটা দেশে ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না। তারা উইকেট ভেঙে ফেলে এবং প্রতিটি জেলার স্টেডিয়াম দখল করে রেখেছে। এমনকি যেখানে ফুটবলের আয়োজন নেই, সেখানেও স্টেডিয়াম ব্যবহার করছে।’