কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের প্রধান কোচ হিসেবে রেকর্ড চারটি বিপিএল ট্রফি জিতেছেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের প্রধান কোচ হিসেবে রেকর্ড চারটি বিপিএল ট্রফি জিতেছেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন

বিপিএল কি মিস করেন সালাহউদ্দীন

বিপিএল কিংবা আরও নির্দিষ্ট করে বললে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের একরকম সমার্থকই হয়ে উঠেছিল মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন নামটা। সব মিলিয়ে চারবার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্রধান কোচ হিসেবে জিতেছেন বিপিএলের ট্রফি।  

গত আসর থেকে বিপিএলে নেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। সালাহউদ্দীনও এখন কাজ করেন জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে। ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বিপিএলের নতুন আরেকটি মৌসুম।

এই টুর্নামেন্টটাকে কি মিস করেন? আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমন প্রশ্নের উত্তরে সালাহউদ্দীন বলেছেন, ‘আমি স্বাভাবিকভাবে কোনো কিছু মিস করি না।’

সালাহউদ্দীন আসলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন জাতীয় দলের সাদা বলের ক্রিকেটারদের ব্যাটিং অনুশীলনের পর। বিপিএলের আগে ফাঁকা সময়ে ৬ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ এই ক্যাম্প হচ্ছে।

কেন এই অনুশীলনের আয়োজন তা নিয়ে সালাহউদ্দীন বলেছেন, ‘উন্নতির কোনো শেষ নেই। আর স্বাভাবিকভাবে আপনারা অনেক সময় বলেন যে স্কিলের ঘাটতি আছে। এই জায়গায় উন্নতি করারও কোনো সময়-টময় পাই না। কারণ এত আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা থাকে।’

বাংলাদেশ জাতীয় দলেন সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন

টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়েই বাড়তি নজর থাকবে জানিয়ে সালাহউদ্দীন বলেন, ‘বিশেষত টি-টোয়েন্টিতে আমাদের অনেক সময় হয়তো ভালো শট খেলে কিন্তু হয়তো ওগুলো (ক্যাচ হিসেবে) হাতে চলে যায়। কীভাবে ফাঁকা জয়াগায় মারতে হয়, কীভাবে বলের গতি কাজে লাগাতে হয়, কম ঝুঁকি নিয়ে কীভাবে আসলে বাউন্ডারি আদায় করা যায় এবং কীভাবে আসলে আরও বেশি সিঙ্গেলস নেওয়া যায় এসব নিয়ে কাজ হচ্ছে।’

এ বছর টি-টোয়েন্টিতে ৩০ ম্যাচ খেলে ১৫টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ডও গড়া হয়েছে। এই সংস্করণে দলের উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেন সালাহউদ্দীনও, ‘বলব না যে আমরা অনেক সাফল্য পেয়ে গেছি। কিন্তু যতটুকু সাফল্য এসেছে, এটা টি-টোয়েন্টি থেকেই। কারণ আমরা নিয়মিত সিরিজ খেলেছি একটার পর একটা এবং একটা পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়েছি, বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করে করে আমরা এগিয়েছি। এখনো হয়তো উন্নতির আরও কিছু জায়গা আছে।’