Thank you for trying Sticky AMP!!

ফখর জামান

বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেক ছক্কা মেরে দ্রুত ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছেন ফখর

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের পরই পাকিস্তান দল থেকে বাদ পড়েছিলেন ফখর জামান। বেঞ্চে বসে দেখেছেন ৫ ম্যাচ। বাদ পড়ার যথেষ্ট কারণও ছিল। গত এপ্রিলে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১৮০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর ১১ ওয়ানডেতে কোনো ফিফটি পাননি।

তবে বিশ্বকাপে এসে ইমাম–উল–হক ফর্ম হারিয়ে ফেলায় গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ফেরানো হয়েছে ফখরকে। বাঁহাতি এ ওপেনার ফিরেই খেলেছেন ৭৪ বলে ৮১ রানের ইনিংস। হয়েছেন ম্যাচসেরা। শতকও পেতে পারতেন। তবে পাকিস্তানের নেট রানরেট বাড়িয়ে নেওয়ার তাড়নায় শতকের কাছে গিয়েও কৌশল পাল্টাননি। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়কে।

Also Read: মাঠ-টস-উইকেটে যতই বদল হোক, পরাজয় যেন বাংলাদেশের ভবিতব্যই

ওই শটে ছক্কা হলে ফখর শতকের দিকে আরও এগিয়ে যেতেন। হয়তো দ্রুত শতকও তুলে নিতেন। সেটা হলে পাকিস্তান ম্যাচ জিতে যেত ৩০ ওভারের আগেই। কিন্তু ফখর আউট হওয়ার পর জয়ের জন্য বাকি ৩৬ রান তুলতে ৩০ বল লেগেছে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদের। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফখরও জানিয়েছেন, শতক নয়, তাঁর উদ্দেশ্যে ছিল ২৮-২৯ ওভারের মধ্যে খেলা শেষ করা।

১২৮ রানের জুটি গড়েছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার

কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম ব্যাট করে বাংলাদেশ তুলেছিল ২০৪ রান, যা ১০৫ বল বাকি থাকতেই টপকে যায় পাকিস্তান। ওয়ানডেতে এ নিয়ে চতুর্থবার ১০০ বা এর চেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জিতল দলটি। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না পাকিস্তানের।

বাকি ম্যাচগুলো তো জিততে হবেই, সঙ্গে অন্য দলগুলোর দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। এমন কঠিন সমীকরণের কারণেই ফখর জানিয়েছেন দ্রুত ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিলেন, ‘আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি, এ অবস্থায় ম্যাচটা ২৮-২৯ ওভারে শেষ করতে চেয়েছি। তাই আক্রমণাত্মক ছিলাম। এমনিতে আমার জন্য ১০০ করা খুব সহজ ছিল। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য ছিল দ্রুত রান তাড়া করা।’

Also Read: বাংলা জানায় বাংলাদেশ দলকে যেভাবে বোকা বানিয়েছিলেন ধোনি

ফখর কাল শুরুটা করেছেন রয়েসয়ে। মেডেনও দিয়েছেন এক ওভার। পরে তাসকিন আহমেদের বলে বিশাল ছক্কা মেরে তাঁর আক্রমণাত্মক খেলার শুরু। নিজের ইনিংস এমন পরিকল্পনাতেই সাজিয়েছিলেন ফখর। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে বলেছেন, ‘আবদুল্লাহকে (আবদুল্লাহ শফিক) বলছিলাম, আমি প্রথম চার ওভার দেখব। এরপর পিচ যেমন আচরণ করুক না কেন, আমি ছক্কা মারব। আমার ভূমিকা সম্পর্কে আমি অবগত। জানি, আমি পারব।’

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপটা দারুণভাবে শুরু করেছিল পাকিস্তান। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড ৩৪৫ রান তাড়া করেও জিতেছিল তারা। কিন্তু এরপরই ঘটে আশ্চর্য ছন্দপতন। টানা চার ম্যাচ হেরে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় ১৯৯২ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। কাল বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তাদের আবার আশা দেখাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ফখর জানিয়েছেন, পাকিস্তানের লক্ষ্য এখনো সেমিফাইনাল, ‘ প্রতিটা জয়ই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। পরবর্তী দুই ম্যাচও জিততে চাই। আমাদের লক্ষ্য সেমিফাইনাল।’

Also Read: পাকিস্তান ক্রিকেট দল খারাপ খেলুক, পিসিবিই চায়, অভিযোগ এক সিনিয়র ক্রিকেটারের