Thank you for trying Sticky AMP!!

ইউসুফের করা সেই রেকর্ড ভাঙার সামর্থ্য আছে বাবরের

পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বলা হয় মোহাম্মদ ইউসুফকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করেছেন ১৭০০০–এর বেশি রান, আছে ৩৯টি সেঞ্চুরি। পাকিস্তানের হয়ে প্রায় ৩০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই ব্যাটসম্যানের জন্য ২০০৬ সালটা ছিল বিশেষ এক বছর। সে বছর ইউসুফ ব্যাট হাতে টেস্টে করেছিলেন ১৭৮৮ রান, ভেঙেছিলেন টেস্টে এক পঞ্জিকাবর্ষে ভিভ রিচার্ডসের করা সর্বোচ্চ ১৭১০ রানের রেকর্ড। ১৭ বছর আগে করা ইউসুফের সেই রেকর্ড এখনো অক্ষত। তবে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়া সেই ইউসুফই মনে করছেন, পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম তাঁর রেকর্ড ভাঙতে পারেন।

Also Read: ভারতের পাঠ্যবইয়ে বাবর আজম

পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম

২০০৬ সালে মাত্র ১৯ ইনিংস খেলেই ১৭৮৮ রান করেছিলেন ইউসুফ। শুধু সর্বোচ্চ রানই নয়, এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ৯ সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছিলেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। অন্যদিকে পাকিস্তানের বর্তমান অধিনায়ক বাবর আজম কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। হয়েছেন টানা দুবার বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার, জিতেছেন আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি।

ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউসুফ বলেছেন তাঁর রেকর্ড ভাঙার সব সামর্থ্য আছে বাবরের, ‘পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে আমি খুশি হব, যদি কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটার আমার রেকর্ড ভাঙতে পারে। আমার কোনো সন্দেহ নেই, আমার রেকর্ড ভাড়ার সামর্থ্য বাবরের আছে। বাবরের অসাধারণ পারফরম্যান্সই তাকে এই যুগে পাকিস্তানের সেরা ক্রিকেটার বানিয়েছে।’

Also Read: বর্ষসেরা ক্রিকেটার বাবর আজম

পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফ

ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে চললেও বাবরের সমালোচনাও কম হয় না। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের কণ্ঠেই বেশি শোনা যায় বাবরের সমালোচনা। মোহাম্মদ ইউসুফ অবশ্য বাবরের ওপর কোনো চাপ দিতে চান না। তাঁর মতে, বাবরকে বিরক্ত করা মানে পুরো পাকিস্তান দলকেই বিরক্ত করা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘কঠিন সময় যেভাবে বাবর কাটিয়ে উঠতে পারে, তার সঙ্গে কিছুর তুলনা চলে না। ও আমাদের দলের মূল খেলোয়াড়, ওর ওপর কোনো চাপ দেওয়া যাবে না। আমরা যদি ওকে বিরক্ত করি, তাহলে পুরো পাকিস্তান দলকেই বিরক্ত করা হয়। এর চেয়ে কোনো সমস্যা মনে হলে, বাবরের সঙ্গে বসে কথা বললেই সমাধান হবে।’

Also Read: অনুশীলনে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ বল খেলেন বাবর আজম