Thank you for trying Sticky AMP!!

চাকরি হারানোর শঙ্কায় আছেন চেলসি কোচ গ্রাহাম পটার

চাকরি বাঁচাতে সিনিয়র খেলোয়াড়দের শরণাপন্ন চেলসি কোচ

বলা হয়, ফুটবল কোচের ব্যাগ নাকি সব সময় গোছানো থাকে। এই রোববার যে কোচকে মাথায় তুলে নাচা হয়, পরের সপ্তাহেই তিনি হয়ে যেতে পারেন অপ্রয়োজনীয়। আর কোচের পদটা যদি হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসির, চাকরিটা যেন আরও কঠিন। স্টামফোর্ড ব্রিজের এই ক্লাবকে চাইলে কোচদের ‘মৃত্যুকূপ’ও বলা যায়, এমনকি গত বছর ক্লাবের মালিক বদলালেও বদলায়নি সংস্কৃতি।

রোমান আব্রামোভিচের জায়গায় চেলসির মালিক হওয়া টড বোয়েলিও হাঁটেন একই পথে। দলকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো কোচ টমাস টুখেলকে মৌসুমের শুরুতেই সরিয়ে দেন বোয়েলি। তাঁর জায়গায় ব্রাইটন থেকে নিয়ে আসেন গ্রাহাম পটারকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে এখন চাকরি হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন পটারও।

Also Read: পটারকে দুয়ো, বরখাস্ত হওয়া সেই টুখেলকে চেয়ে চেলসি সমর্থকদের গান

শেষ ৮ ম্যাচের মাত্র একটিতে জিতেছে তারা। যেকোনো মুহূর্তে তাঁর বিদায়ের নোটিশ আসতে পারে বলেও খবর দিচ্ছে ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। এর মধ্যে দলের মৌসুমটাকে রক্ষা করতে সিনিয়র খেলোয়াড়দের শরণাপন্ন হয়েছেন পটার।

ম্যানচেস্টার সিটির কাছে টানা দুই ম্যাচে হেরেছে চেলসি

দলের মৌসুম বাঁচাতে না পারলে নিজের চাকরিটাও যে হারাতে হবে, তা ভালোই জানা আছে পটারের। যে কারণে এরই মধ্যে দলের অভিজ্ঞ ফুটবলার থিয়াগো সিলভা, সিজার আজপিলিকেতা, জর্জিনিও ও মাতেও কোভাচিচের শরণাপন্ন হয়েছেন এই ইংলিশ কোচ। যেখানে দলের বর্তমান দুরবস্থা ও এর থেকে পরিত্রাণের উপায় নিয়ে কথা বলেছেন পটার।

Also Read: দামে বেশি, লাভেও শীর্ষে সিটি 

সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে পটার বলেছেন, ‘আমি গতকাল থিয়াগো, আজপি, জর্জি ও কোভার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছি। আমাদের আলাপটা ভালো ছিল। তারাও নিজেদের উদ্বেগের কথা বলেছে। তারা ইতিবাচক থাকার কথা বলেছে এবং নিজেদের দায়িত্বের কথাও জানিয়েছে। আমি মনে করি, আমরা এমন জায়গায় আছি, যেখান থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।’

দলের খেলোয়াড়েরাও ভালো করতে উন্মুখ হয়ে আছেন জানিয়ে পটার বলেছেন, ‘এটা অভিজ্ঞ দল। খেলোয়াড়েরা সৎ এবং তারা দায়িত্ব নিতে চায়। তারা নিজেদের উন্নতি দেখতে চায় ও জিততে চায়।’

সময়টা ভালো যাচ্ছে না চেলসি কোচ পটারের

পাশাপাশি দলের সময়টা যে ভালো যাচ্ছে না, তা–ও স্বীকার করে নিয়েছেন এই কোচ, ‘আমরা কঠিন সময় পার করছি এবং এমন চ্যালেঞ্জ আছে, যা খেলোয়াড়দের ওপরও প্রভাব ফেলে। তারাও মানুষ। নিজেদের কাজের জন্য তাদের টাকা দেওয়া হয়, তবে তারা কিন্তু রোবট নয়।’

Also Read: আট বছর প্রেমের পর চতুর্থ বিয়ের প্রস্তুতি রোনালদোর

এই মুহূর্তে চেলসি কোচের দায়িত্ব পালন করা সবচেয়ে কঠিন বলেও মনে করেন পটার, ‘প্রত্যাশা ও নেতৃত্বের পরিবর্তনকে বিবেচনায় নিলে আমার মনে হয়, এই মুহূর্তে সম্ভবত ফুটবলের সবচেয়ে কঠিন কাজ।’