
আফ্রিকার ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্দে। পরশু আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে ইসোয়াতিনিকে ৩–০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের ছোট অঙ্গরাজ্য ভারমন্টের থেকেও কম জনসংখ্যার দেশ কেপ ভার্দে। এত কম মানুষের দেশ হয়েও বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়ে দারুণ এক ইতিহাস গড়ল তারা। তবে জনসংখ্যার দিক থেকে এর চেয়েও ছোট দেশের বিশ্বকাপে খেলার নজির আছে। দেখে নেওয়া যাক, জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বকাপ খেলা সবচেয়ে ছোট পাঁচটি দেশ—
আইসল্যান্ড
২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়েছিল আইসল্যান্ড। তখন তাদের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৩ লাখ ৫০ হাজার। বিশ্বকাপে খেলা সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে রেকর্ডটা এখনো তাদেরই। এর আগে ২০১৬ ইউরোতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে সবাইকে চমকে দিয়েছিল তারা। রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ড্র করলেও ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়ার কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় আইসল্যান্ড।
কেপ ভার্দে
আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলের এই দ্বীপরাষ্ট্রের জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ২৫ হাজার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তাদের অবস্থান এখন ৭০ নম্বরে। ক্যামেরুনকে পেছনে ফেলে গ্রুপ সেরা হয়ে জায়গা করে নিয়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপে। পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করছে দেশটি। আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে চারবার খেলেছে তারা—২০১৩ ও ২০২৩ সালে উঠেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। সব মিলিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া কেপ ভার্দে জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় ছোট দেশ।
প্যারাগুয়ে
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিল ১৯৩০ সালে। তখন তাদের জনসংখ্যা ছিল ১০ লাখের কম। প্রথম আসরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে ও বেলজিয়ামকে হারিয়ে বিদায় নেয় তারা। ২০২৬ সালে নবমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে প্যারাগুয়ে।
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
কারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র ত্রিনিদাদ ও টোবাগো প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলে ২০০৬ সালে। তখন তাদের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৩ লাখ। সেই আসরে জনসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে ছোট দেশ ছিল তারাই। সুইডেনের সঙ্গে ড্র করলেও ইংল্যান্ড ও প্যারাগুয়ের কাছে হেরে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেয় তারা। এরপর আর কখনো বিশ্বকাপে ফেরা হয়নি ক্রিকেটের বরপুত্র ব্রায়ান লারার দেশের।
উত্তর আয়ারল্যান্ড
১৯৫৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলে উত্তর আয়ারল্যান্ড। তখন তাদের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৪ লাখ। সেই আসরে চেকোস্লোভাকিয়াকে হারায়, আর্জেন্টিনার কাছে হারে, আর জার্মানির সঙ্গে ড্র করে গ্রুপ পর্ব পার করে তারা। তবে পরের রাউন্ডে ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নেয়। এরপর ১৯৮২ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপেও খেলেছিল ইউরোপের এই দেশটি।