Thank you for trying Sticky AMP!!

শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জিতিয়েছেন ম্যাক অ্যালিস্টার

৯৯ মিনিটে গোল খেয়ে হারল ইউনাইটেড

নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ের খেলাও তখন শেষের পথে। অপেক্ষা শুধু শেষ বাঁশি বাজার। কিন্তু তখনই ব্রাইটন-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যাচে মঞ্চস্থ হয় রোমাঞ্চকর এক নাটকের। নিজেদের ডি-বক্সে লুক শ’র হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পায় ব্রাইটন। স্পট কিকে কোনো ভুল করেননি বিশ্বকাপে নিজেকে চেনানো আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। তাঁর নিঁখুত শট খুঁজে নেয় জালের ঠিকানা। এই পেনাল্টি গোলেই ব্রাইটনের মাঠ থেকে ১-০ গোলের হার নিয়ে ফিরতে হয়েছে ইউনাইটেডকে।

মৌসুমের এ সময়ে যখন প্রতিটি পয়েন্ট মহাগুরুত্বপূর্ণ, তখন এমন হার নিশ্চিতভাবে ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াবে। এই হারের পর ইউনাইটেডের সেরা চারে থাকার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও যে ঝুঁকিতে পড়ল।

Also Read: ম্যারাডোনার স্মৃতি ফিরিয়ে ৩৩ বছর পর লিগ চ্যাম্পিয়ন নাপোলি

৩৩ ম্যাচ শেষে ইউনাইটেডের পয়েন্ট এখন ৬৩। এক ম্যাচ বেশি খেলে লিভারপুলের পয়েন্ট ৫৯। যারা আগের ম্যাচে ফুলহামকে হারিয়েছিল। এমনকি ৩২ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে থাকার আশা ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখল ব্রাইটনও। তাই পরের ম্যাচগুলোতে জয়ের ধারায় ফিরতে না পারলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা আছে ইউনাইটেডের।

ব্রাইটনের উদ্‌যাপন

ব্রাইটনের মাঠে এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ইউনাইটেডের ব্রাজিলিয়ান তারকা আন্তনি। কিন্তু সুযোগ নষ্ট করেন এই উইঙ্গার। ম্যাচের ৪ মিনিটে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় নিশ্চিত গোলের হাত থেকে ইউনাইটেডকে রক্ষা করেন দাভিদ দি হেয়া।

Also Read: শেখ জসিমের চেয়ে বেশি দামে ইউনাইটেড কিনতে চান র‍্যাটক্লিফ

বল নিয়ে একক প্রচেষ্টায় ঢুকে পড়েও দি হেয়াকে ফাঁকি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন কাওরু মিতোমা। ম্যাচের ১০ মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। সবশেষ দুই ম্যাচে ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয় পাওয়াতেই হয়তো এদিন দারুণ উজ্জ্বীবিত ছিল ব্রাইটন। অতিথিদের আক্রমণের জবাব তারা দিচ্ছিল পাল্টা আক্রমণে।

সহজ সুযোগ হাতছাড়া করলেও এদিন ইউনাইটেডের রক্ষণে বেশ চাপ তৈরি করে রাখেন ব্রাইটনের মিতোমা। ২৮ মিনিটে ‘রেড ডেভিল’দের অবশ্য গোলের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিলেন মার্কাস রাশফোর্ড। তবে ইউনাইটেডের সেই প্রচেষ্টাও এনে দিতে পারেনি কোনো গোল।

ব্রাইটনের আনন্দের বিপরীতে ইউনাইটেডের হতাশা

প্রথমার্ধের বাকি সময়েও দুই দল মিলে গোলের সন্ধানে ছিল। কিন্তু হতাশা নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় তাদের। সে জন্য অবশ্য প্রতিপক্ষের সামর্থ্যের চেয়ে নিজেদের দোষই বেশি ছিল তাদের। ফিনিশিংয়ে একের পর এক ব্যর্থতার কারণেই প্রত্যাশিত গোলটি পায়নি কোনো দল।

Also Read: ২০২৮ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আর্জেন্টাইন গারনাচো

বিরতির পরও গোলের সন্ধানে ছিল দুই দল। একাধিকবার কাছাকাছিও পৌঁছে গিয়েছিল তারা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটির দেখা কোনো দলই পাচ্ছিল না। এরপর ম্যাচ যখন গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হওয়ার অপেক্ষায়, তখনই মঞ্চস্থ হয় আসল নাটকের। পেনাল্টি গোলে ইউনাইটেডকে হতাশ করে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট আদায় করে নেয় ব্রাইটন।