গত মৌসুমে একপর্যায়ে ‘ট্রেবল’ জয়ের পথে ছিল ইন্টার মিলান। কিন্তু মৌসুমের শেষভাগে এসে পথ হারিয়ে ফেলে দলটি। একে একে হাতছাড়া হয়ে যায় ইতালিয়ান কাপ, ইতালিয়ান লিগ সিরি আ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা।
এরপরও মৌসুমটি ইতিবাচকভাবে শেষ করার সুযোগ ছিল ইন্টারের। সে জন্য তাদের জিততে হতো ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। কিন্তু বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টেও শেষ ষোলোর বেশি এগোতে পারল না দলটি। গতকাল রাতে কোয়ার্টারে ওঠার লড়াইয়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের কাছে ২–০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে ইন্টার।
দলের এমন হার ও বিদায় যেন মানতেই পারছেন না অধিনায়ক লাওতারো মার্তিনেজ। ম্যাচ শেষে সতীর্থদের কড়া সমালোচনাও করেছেন তিনি। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সাংবাদিকদের বলেছেন, যাঁদের মধ্যে লড়াইয়ের আকাঙ্ক্ষা নেই, তাঁরা যেন ক্লাব ছেড়ে চলে যান।
মার্তিনেজের ভাষায়, ‘আমি বড় শিরোপাগুলোর জন্য লড়তে চাই। যারা ইন্টারে থাকতে চায়, খুব ভালো, আমরা একসঙ্গে লড়ব। কিন্তু কেউ যদি থাকতে না চায়, তাহলে চলে যেতে পারে। আমাদের এমন খেলোয়াড় দরকার, যারা এখানে থাকতে চায়, যারা পুরোপুরি নিবেদিত। আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ জার্সি পরে খেলছি, একটি বড় ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করছি। আমাদের উঁচু মানসিকতা দরকার। কারও যদি সেটা না থাকে, তাহলে দয়া করে চলে যাও।’
ইন্টার অধিনায়ক কড়া ভাষায়ই বলেন, ‘আমার বার্তা স্পষ্ট। আমি এমন কিছু দেখেছি, যা আমার পছন্দ হয়নি। আমি কারও নাম উল্লেখ করব না। ভক্তরা এখানে এসে আমাদের সমর্থন করেছেন, তাদের কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি অধিনায়ক এবং আমি চাই আমরা শীর্ষে থাকি। এটা ছিল একটি দীর্ঘ এবং ক্লান্তিকর মৌসুম।’
মার্তিনেজ কারও নাম না নিলেও ইতালীয় গণমাধ্যমের দাবি, মার্তিনেজের সমালোচনার মূল লক্ষ্য মিডফিল্ডার হাকান চালহানোগলু। তুরস্কের এই ফুটবলার ক্লাব বিশ্বকাপে খেলছেন না। গুঞ্জন আছে, তিনি ইন্টার ছেড়ে গ্যালাতাসারাইয়ে যেতে চান।
ইন্টারের স্পোর্টিং ডিরেক্টর বেপ্পে মারোত্তাও মনে করেন, এই মন্তব্যগুলো মূলত চালহানোগলুকেই লক্ষ্য করে বলা হয়েছে। মারোত্তা বলেছেন, ‘আমি মনে করি, তিনি চালহানোগলুকেই উদ্দেশ্য করে বলেছেন। এগুলো হলো অধিনায়কের কথা। যখন একজন খেলোয়াড় আর এখানে থাকতে চায় না, তখন তার চলে যাওয়ার অধিকার আছে। এখন পর্যন্ত কেউ এমন কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। আমরা পরের সপ্তাহে হাকানের সঙ্গে স্পষ্টভাবে কথা বলব যাতে বিষয়টি সবার জন্যই ভালোভাবে সমাধান করা যায়।’