গৌতম গম্ভীরের চেয়ারটা কি তবে নড়বড়ে হয়ে গেল? ভারতীয় দলের প্রধান কোচের পদ থেকে কি তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে? কয়েক দিন ধরে ভারতীয় ক্রিকেটপাড়ায় এ প্রশ্নগুলো বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।
গম্ভীরের জন্য বছরটা ছিল অম্লমধুর অভিজ্ঞতার। বিশেষ করে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ০-২ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারের পর তাঁর দিকে সমালোচনার তির ধেয়ে আসতে থাকে।
কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল, সাদা পোশাকের ক্রিকেটে গম্ভীরের কোচিংয়ে তুষ্ট নয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এমনকি গুঞ্জন রটেছিল, গম্ভীরের বিকল্প হিসেবে সাবেক ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণকে লাল বলের কোচ হওয়ার অনানুষ্ঠানিক প্রস্তাবও দিয়ে ফেলেছে বোর্ড।
আরও শোনা গেছে, বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির (এনসিএ) প্রধান লক্ষ্মণ নাকি সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। ৫১ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি আপাতত এনসিএ নিয়েই থাকতে চান; কারণ, এতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ বেশি মেলে। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্বে তাঁর ক্রিকেটীয় বুদ্ধির ঝলক দেখালেও এখনই পাকাপাকিভাবে কোচের চেয়ারে বসতে রাজি নন তিনি।
কিন্তু পর্দার আড়ালের গল্পটা আসলে কী? ‘ফ্যাক্ট চেক’ বলছে, না, গম্ভীরের চেয়ারটা এখনই নড়বড়ে হওয়ার কোনো কারণ নেই। লক্ষ্মণকে প্রস্তাব দেওয়ার খবরের কোনো স্বাধীন বা নির্ভরযোগ্য ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং গম্ভীরের অধীনে সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের রেকর্ড বেশ উজ্জ্বল। সামনে যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তখন খামাখা অধিনায়ক বদলের ঝুঁকি বোর্ড কেনই–বা নেবে!
সব জল্পনাকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এসব খবর কেবলই ‘কল্পনাপ্রসূত’ এবং এর কোনো ভিত্তি নেই।
সাইকিয়া বলেছেন, ‘খবরটি সম্পূর্ণ ভুল এবং অনুমাননির্ভর। নামী সংবাদ সংস্থাগুলো এটি প্রকাশ করলেও এর মধ্যে একবিন্দু সত্যতা নেই। বিসিসিআই কাউকে কোনো প্রস্তাব দেয়নি। এটি কারও উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়।’
আপাতত ভারতের ড্রেসিংরুমে ‘গম্ভীর’ শাসন জারি থাকছে বলেই মনে হচ্ছে।