
টানা ম্যাচ আর অনুশীলনের তীব্র চাপ আজকাল ফুটবলারদের জীবন অনেক কঠিন করে তুলেছে। কয়েক বছর ধরেই ফুটবলারদের চোটে পড়ার হার যেন বহুগুণ বেড়ে গেছে। প্রতি মৌসুমেই দলগুলোকে ক্লান্তির ধকল আর চোটের ‘বিষ-তির’ সামলে চলতে হয়। এই বাড়তি চাপ নিয়ে কোচ এবং খেলোয়াড়েরা বিভিন্ন সময়ে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করলেও পরিস্থিতি বদলায়নি।
বরাবরের মতো এবারও ইউরোপের বড় দলগুলো চোটের কারণে ভীষণভাবে ভুগছে। তবে এবার সবচেয়ে বেশি যে দলগুলো বিপদে পড়েছে তাদের মধ্যে ওপরের দিকেই আছে বার্সেলোনার নাম।
ট্রান্সফারমার্কেট-এর দেওয়া এই পরিসংখ্যান বলছে, বার্সেলোনা অবস্থান তালিকার পাঁচ নম্বরে। অন্যদিকে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ আছে শীর্ষ বিশ দলেরও বাইরে! এই দুর্ভাগ্যের পরিসংখ্যানে শীর্ষে থাকা দলটি টটেনহাম!
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ক্লাবগুলোর মধ্যে এই মৌসুমে লিগ ম্যাচ মিসের সংখ্যার ভিত্তিতে তালিকাটি সাজানো হয়েছে। দেখা যাচ্ছে টটেনহামই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দুর্ভাগ্যের শিকার! এখন পর্যন্ত এই মৌসুমে থমাস ফ্র্যাঙ্কের দলের ১৫ জন খেলোয়াড় মোট ৯২টি লিগ ম্যাচ মিস করেছেন। এর মধ্যে দেয়ান কুলুসেভস্কি, জেমস ম্যাডিসন এবং ডমিনিক সোলাঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়েরাও মাঠের বাইরে ছিলেন।
এরপর তালিকায় থাকা তিনটি ক্লাবই ফ্রান্সের লিগ আঁর-এর। ক্লাবগুলো হলো নিস (১১ জন খেলোয়াড় ৬৫ ম্যাচ মিস করেছেন), মোনাকো (১২ জন খেলোয়াড় ৬৩ ম্যাচ মিস করেছে) এবং লরিয়াঁ (১০ জন খেলোয়াড় ৬৩ ম্যাচ মিস করেছেন)। যেন ফরাসি লিগটাই চোটের এক ‘মহামারি’তে ভুগছে!
এই চার দলের ঠিক পরেই অবস্থান বার্সেলোনার। এই মৌসুমে হ্যান্সি ফ্লিকের দলের ১৪ জন খেলোয়াড়কে চোটের ধকল সইতে হয়েছে। তাঁরা মোট ৬২টি ম্যাচ মিস করেছেন। এর ফলে স্প্যানিশ লিগ লা লিগায়ও এই মৌসুমে বার্সাই সবচেয়ে বেশি চোটজর্জর দলে পরিণত হয়েছে।
লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের হয়ে মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন, গাভি, রাফিনিয়া ও লামিন ইয়ামালের মতো বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় চোটের কারণে ছিটকে গেছেন।
ইউরোপের অন্য শীর্ষ দলগুলোর মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটি আছে তালিকার ১৫ নম্বরে। এখন পর্যন্ত তাদের ১৪ জন খেলোয়াড় ৫৫ ম্যাচ মিস করেছেন। প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের সময় মাঠে কিছুটা খারাপ চললেও চোটের দিক থেকে তারা ভালো অবস্থানেই আছে। এই দলের ১১ জন খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত ৩৯ ম্যাচ মিস করেছেন। আর আর্সেনালের ১২ জন ফুটবলার মিস করেছেন ৪৯ ম্যাচ।