দেশের ফুটবল যেন প্রবাসী-স্রোত! হামজা চৌধুরী, ফাহামিদুল ইসলাম, শমিত সোমের পর আলোচিত নাম কিউবা মিচেল। কিছুদিন ধরেই তাঁকে নিয়ে নানা গুঞ্জন। এবার অবশ্য কোনো গুঞ্জন নয়, সত্যিই হতে চলেছে অনেক ফুটবলপ্রেমীর চাওয়া।
আজ বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেয়েছেন কিউবা মিচেল। রাতে বাফুফের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এমন খবর প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে। এরই মধ্যে কিউবা মিচেলকে বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর পরবর্তী ধাপের কাজও শুরু করেছে ফুটবল ফেডারেশন।
নিয়ম অনুযায়ী, কিউবা মিচেলকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলাতে হলে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) ও তাঁর ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের অনাপত্তিপত্র লাগবে। সেই আবেদনও করা শেষ। এখন শুধু অনাপত্তিপত্র পাওয়ার অপেক্ষা।
এফএ এবং সান্ডারল্যান্ড অনাপত্তিপত্র দেওয়ার পর ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে। সেই ধাপ শেষ হলে লাল-সবুজের জার্সিতে কিউবার বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আর কোনো বাধা থাকবে না।
সর্বশেষ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ফুটবলার শমিত ফিফার অনুমোদন পাওয়ার পর কিউবা মিচেলও বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ দেখান। তাঁর মা বাংলাদেশি এবং বাবা জ্যামাইকান।
১৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বর্তমানে ইংল্যান্ডের ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলছেন। এর আগে একই ক্লাবের অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে ২৫ ম্যাচ খেলেন। মিডফিল্ডের তিন পজিশন-ডিফেন্সিভ, সেন্ট্রাল এবং অ্যাটাকিংয়েও সমানভাবে দক্ষ কিউবা মিচেল।
১০ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের আগে কিউবা মিচেলকে নিয়ে কানাঘুষা চললেও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই।
গত ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর। এর পর থেকে প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ বেড়েছে কয়েক গুণ।
যদিও প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হিসেবে বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক হয় ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া জামালের।