Thank you for trying Sticky AMP!!

উদ্ধারকাজে সাহায্য করবে রোবট মাছ

মাছের অনুকরণে তৈরি হয়েছে ব্লুবট রোবট।

মাছ যেভাবে পানির নিচে দল বেঁধে চলাফেরা করতে পারে, রোবটও মাছের অনুকরণ করতে পারবে। সম্প্রতি হার্ভার্ডের গবেষকেরা মাছের মতো পানির নিচে চলাফেরা করতে সক্ষম ক্ষুদ্র রোবট তৈরি করেছেন। এ রোবটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্লুবট’।

এতে ক্যামেরা ও নীল এলইডি বাতি যুক্ত করেছেন গবেষকেরা, যা দিক নির্ণয়ের পাশাপাশি অন্য রোবট থেকে দূরত্ব হিসাব করে চলতে পারে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষকেরা ইতিমধ্যে পানির ট্যাংকে এ রোবট পরীক্ষা করে দেখেছেন। মাছসদৃশ রোবটগুলো প্রপেলারের পরিবর্তে পাখা নাড়িয়ে চলতে সক্ষম হবে। পানির নিচের প্রচলিত ড্রোনের চেয়ে এগুলো বেশি কার্যকারিতা দেখাতে পারে।

গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ গত বুধবার ‘সায়েন্স রোবোটিকস’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণা নিবন্ধের প্রধান লেখক ফ্লোরিয়ান বার্লিংগার বলেছেন, ‘ভবিষ্যৎ বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের কথা ভাবলে এ রোবট মাছ প্রয়োজনীয়। যেমন খোলা সমুদ্রে অনুসন্ধানী কাজে এর ব্যবহার করা যেতে পারে। দুর্ঘটনায় পড়া মানুষকে দ্রুত শনাক্ত করে তাদের উদ্ধারকাজে এ রোবট মাছ কাজে লাগতে পারে।’

এ ছাড়া রোবট মাছ পরিবেশ ও অবকাঠামো পর্যবেক্ষণকাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এখনকার প্রচলিত পানির নিচের রোবট সিস্টেম রেডিও ব্যবহার করে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং জিপিএসের অবস্থান পরস্পরের সঙ্গে বিনিময় করে।

কিন্তু নতুন ব্লুবট রোবট মাছের মতো প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণের কাছাকাছি চলে এসেছে। এতে কোনো একক নেতাকে অনুসরণ করার বদলে জটিল ও একত্র আচরণ দেখা যায়। এ রোবটগুলো থ্রিডি প্রিন্টারে প্রিন্ট করা এবং ১০ সেন্টিমিটার (৪ ইঞ্চি) লম্বা।

এগুলো ব্লু ট্যাং মাছের অনুকরণে তৈরি করেছেন গবেষকেরা। রোবটগুলোতে বসানো ক্যামেরা মাছের চোখ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এগুলো মাছের মতোই একসঙ্গে লক্ষ্যের পাশে জড়ো হতে পারে। গবেষকেরা এ ব্লুবট রোবটের নকশা উন্নয়নে কাজ করছেন, যাতে এলইডির ব্যবহার ছাড়াই তা পরীক্ষাগারের বাইরে কাজ করতে পারে।