Thank you for trying Sticky AMP!!

চার দশক আগেই মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব পায় নাসা

মঙ্গলগ্রহ। ছবি: রয়টার্স

সৌরজগতের লোহিত গ্রহ মঙ্গল নিয়ে গবেষণা চলছে যুগ যুগ ধরে। সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কি না, গ্রহটি মানুষের দ্বিতীয় আবাস হতে পারবে কি না—এসব প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানীরা খুঁজে চলেছেন প্রতিনিয়ত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) সাবেক এক বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, চার দশক আগেই মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু নাসা সে সময় তা আমলে নেয়নি।

নাসা ১৯৭৬ সালে মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধানে ভাইকিং অভিযান পরিচালনা করে। মহাকাশযানটির একটি অংশ কক্ষপথ থেকে মঙ্গলপৃষ্ঠের ছবি তুলেছে। অপর অংশটি মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতরণ করে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধান করেছে। অংশটির নাম ছিল ভাইকিং ল্যান্ডার। আর অনুসন্ধান অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল লেবেলড রিলিজ, সংক্ষেপে এলআর। নিয়ন্ত্রণকক্ষে এলআরের নেতৃত্বে ছিলেন নাসার প্রকৌশলী ও উদ্ভাবক গিলবার্ট ভি লেভিন। তিনিই গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্টিফিক আমেরিকান–এ ওই অভিযানের পাওয়া ফলাফল নিয়ে একটি দীর্ঘ নিবন্ধ লিখেছেন।

নিবন্ধে গিলবার্ট লেখেন, ‘১৯৭৬ সালের ৩০ জুলাই মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে এলআর তার প্রাথমিক অনুসন্ধানের তথ্য পাঠায়। ফলাফল ছিল আশ্চর্যকরভাবে ইতিবাচক। আমরা ইঙ্গিত পেয়েছিলাম, লোহিত গ্রহটিতে আণুবীক্ষণিক জীব রয়েছে। ওই সব জীবের শ্বাসপ্রশ্বাসের আভাস পেয়েছিলাম আমরা। পৃথিবীর মাটিতে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধানের পরীক্ষায় এলআর থেকে যে ধরনের তথ্য আমরা পেয়েছিলাম, মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে পাঠানো তথ্যের সঙ্গে তা অনেকাংশেই মিলে যায়। এর অর্থ হলো, আমরা চূড়ান্ত জবাব পেয়ে গিয়েছিলাম।’

কিন্তু নাসা উপসংহারে পৌঁছায়, মঙ্গলে এলআর যা পেয়েছে, তা প্রাণের অস্তিত্বের মতো হলেও সরাসরি প্রাণ নয়। গিলবার্টের ভাষায়, নাসা ওই ফলাফল আমলেই নেয়নি। অথচ ভাইকিং অভিযানে মঙ্গলে প্রকৃত অর্থেই প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে নাসার প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টাইন বলেন, মঙ্গলে আণুবীক্ষণিক জীবের অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে। লোহিত গ্রহটিতে মহাকাশচারী পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তথ্যসূত্র: ইনডিপেনডেন্ট