
ফুটবল অত্যন্ত পরিশ্রমের একটি খেলা। এই খেলায় খেলোয়াড়দের ৯০ মিনিট দৌড়ের ওপর থাকতে হয়। মাঠের এমাথা থেকে ওমাথা পর্যন্ত দৌড়ানো সহজ ব্যাপার নয়। আর শুধু দৌড়ালেও তেমন লাভ নেই। রেফারি আর অতিরিক্ত রেফারিরাও তো পুরো খেলায় দৌড়ায়। তাদের কয়জন মনে রাখে? জনগণ মনে রাখে খেলোয়াড়দের। কিন্তু খেলোয়াড়দের খেলায় জেতার জন্য গোল করতে হয়। করতে হয় ফাউল, ট্যাকল আরও কত কিছু! সবই অত্যন্ত কষ্টসাধ্য কাজ। সিঁড়ি দিয়ে চারতলায় উঠতেই আমাদের খিদে লেগে যায়। আর ফুটবলারের কথা তো বাদই দিলাম! এত দৌড়াদৌড়ি করলে তাদের তো খিদে পাওয়ারই কথা। ফুটবলার হলেও তারাও তো মানুষ। ক্রিকেট খেলায় দু-তিনবার পানি পানের বিরতি থাকে। খেলোয়াড়েরা সে সময় পানি তো খায়ই, সঙ্গে ফল, কেকসহ হালকা নাশতাও সেরে নিতে পারে। কিন্তু ফুটবলে এমন কিছু নেই। এমনকি হাফ টাইমের পর বিরতিও মাত্র ১০ মিনিট। যে কারণে ফুটবলাররা ঠিকমতো খাবার খেতে পারে না। পেটে খিদে নিয়েও দৌড়াদৌড়ি করতে হয় তাদের। অথচ প্রচণ্ড খিদের কারণে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যেমন খিদের জ্বালা সইতে না পেরে উরুগুয়ের সুয়ারেজ কামড় দিয়েছিলেন ইতালির কিয়েলিনিকে। তিনি হয়তো কিয়েলিনিকে আস্ত বার্গার ভেবেছিলেন। জবাবে ফিফা তো খাবারের বিরতির ব্যবস্থা করেইনি, উল্টো চার মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সুয়ারেজকে, যা খুবই হতাশাজনক। খিদের জ্বালা সহ্য করা কি সহজ কথা? ফিফার বোঝা উচিত সবারই খিদে পায়। তাই এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ এখন সবার প্রাণের দাবি।