বিশ্বের শীর্ষ ১০ সুপারকম্পিউটার
>বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটারের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বছরে দুবার গতির বিচারে সেরা ৫০০ সুপার কম্পিউটার তালিকা প্রকাশ করে টপ ৫০০ নামের প্রতিষ্ঠান। জার্মান ও মার্কিন বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে লিনপ্যাক বেঞ্চমার্কে জরিপ চালিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে টপ ৫০০। এ তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ সুপারকম্পিউটার নিয়ে এ প্রতিবেদন:
সামিট: যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি দপ্তরের ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি গত জুনে উন্মোচন করেছে সামিট। এটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও মেধাবী সুপারকম্পিউটার। ওক রিজ টিম বলছে, এই সিস্টেমটি নির্মাণের জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে। এটি প্রথম সুপারকম্পিউটার, যা মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে ব্যবহারের কাজে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আইবিএমের তৈরি এ সুপার কম্পিউটার ১৪৮ দশমিক ৬ পেটাফ্লপ গতিসম্পন্ন।
সিয়েরা: আইবিএমের তৈরি সিয়েরা সুপার কম্পিউটারটি সবচেয়ে গতিসম্পন্ন সুপার কম্পিউটারের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের লরেন্স লাইভমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে অবস্থিত। এটি ৯৪ দশমিক ৬ পেটাফ্লপ গতিসম্পন্ন। (১ পেটাফ্লপ= ১ হাজার টেরাফ্লপ বা ১০ লাখ গিগাফ্লপ)।
সানওয়ে তাইহুয়ালাইট: ২০১৭ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ও শক্তিশালী গণনাকারী কম্পিউটার যন্ত্র হিসেবে টপ ৫০০ তালিকায় শীর্ষে ছিল চীনের সানওয়ে তাইহুয়ালাইট। দেশটির ন্যাশনাল সুপার কম্পিউটিং সেন্টারে অবস্থিত এ সুপারকম্পিউটারটি এ বছর তালিকার তিনে অবস্থান করছে। চীনের ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার অব প্যারালাল কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তৈরি সুপারকম্পিউটারটি ৯৩ পেটাফ্লপ গতিসম্পন্ন।
তিয়ানহে-২এ (মিল্কিওয়ে-২ এ): চীনের গোয়াংজুর ন্যাশনাল সুপারকম্পিউটার সেন্টারে অবস্থিত তিয়ানহে-২এ (মিল্কিওয়ে-২ এ) কম্পিউটারটি তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে। চীনের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির তৈরি সুপারকম্পিউটারটি ৬১ দশমিক ৪ পেটাফ্লপ গতিসম্পন্ন।
ফ্রনটেরা: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং সেন্টারে অবস্থিত বিশ্বের পঞ্চম দ্রুতগতিসম্পন্ন সুপার কম্পিউটার ফ্রন্টটেরার। ডেলের তৈরি সি৬৪২০ সুপার কম্পিউটার হিসেবে এতে জিওন প্লাটিনাম প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ২৩ দশমিক ৫ পেটাফ্লপ গতি পাওয়া যায়।
পিজ ডেইন্ট: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন সুপার কম্পিউটারের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের পিজ ডেইন্ট সুপার কম্পিউটারটি। লুগানোর সুইস ন্যাশনাল সুপার কম্পিউটিং সেন্টারে অবস্থিত সুপার কম্পিউটারটি মূলত ক্রে এক্সএসি ৫০ সুপার কম্পিউটার। ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী সিস্টেম হিসেবে এ সুপার কম্পিউটার ২১ দশমিক ২ পেটাফ্লপ গতিতে কাজ করতে পারে।
ট্রিনিটি: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটার তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রিনিটি সুপার কম্পিউটারটি। এটি ২০ দশমিক ২ পেটাফ্লপ গতিসম্পন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যালামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি ও স্যানডিয়া ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে এটি ইনস্টল করা হয়।
এবিসিআই: দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটারের শীর্ষ দশের মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে জাপানের তৈরি সুপার কম্পিউটার এবিসিআই। এটি জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে স্থাপন করা হয়। ফুজিৎসুর তৈরি এআই ব্রিজিং ক্লাউড ইনফ্রাস্ট্রাকচার (এবিসিআই) সিস্টেমটি ১৯ দশমিক ৯ পেটাফ্লপ গতিসম্পন্ন।
সুপারএমইউসি-এনজি: শীর্ষ সুপারকম্পিউটারের তালিকায় স্থান পেয়েছে জার্মানির সুপারএমইউসি-এনজি নামের একটি সুপার কম্পিউটার। এটি লেইবনিজ সুপার কম্পিউটিং সেন্টারে অবস্থিত। লেনোভোর তৈরি এ সুপার কম্পিউটারটিতে ইনটেল প্লাটিনাম জিওন প্রসেসর ব্যবহৃত হয়েছে। এটি ১৯ দশমিক ৫ পেটাফ্লপ গতিসম্পন্ন।
ল্যাসেন: শীর্ষ ১০ সুপার কম্পিউটারের তালিকা করলে ১০ নম্বরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লরেন্স লাইভমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে অবস্থিত ল্যাসেন নামের সিস্টেমটি। এটি ১৮ দশমিক ২ পেটাফ্লপ গতিসম্পন্ন। এটি সিয়েরা সিস্টেমের মতোই আরেকটি কম্পিউটার হিসেবে তৈরি করেছে আইবিএম।
আরও পড়ুন
-
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা, বন্ধ প্রাক–প্রাথমিক
-
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল, অভ্যুত্থানেই পুরো পরিবারসহ খুন হলেন আফগান প্রেসিডেন্ট দাউদ খান
-
মেসিতে মুগ্ধ কাউকে একাদশে রাখবেন না প্রতিপক্ষ দলের কোচ
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রত্ব শেষ, তবু হলে থাকছেন নেতারা
-
কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে বসে ছিল পুলিশ, পরে মৃত্যু