তাপস পালের জয় নিয়ে শঙ্কা
বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান তারকা তাপস পালের সঙ্গে যখন প্রথম আলো থেকে কথা হচ্ছিল, তখন জোরের সঙ্গেই বললেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে মাঠে নেমেছি। কোনো শঙ্কা নেই, জিতছি। নিশ্চিত থাকুন, কৃষ্ণনগর আসন এবারও আমাদের।’
তাপস পাল জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর আসনের মাঠের হিসাব কিন্তু সেটি বলছে না৷ এই আসনের অধিকাংশ মানুষ বলছেন, তাপস পাল এবার জিতবেন কি না, বলা মুশকিল। কারণ, এবার এখানে ‘মোদি-হাওয়া’ প্রবল। বিজেপির প্রার্থীও বেশ শক্তিশালী। বিজেপির হয়ে এই আসনে লড়ছেন সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়।
১৯৯৯ সালে এই আসনে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন সত্যব্রত। হয়েছিলেন বাজপেয়ির মিন্ত্রসভার সদস্য৷ এবারও তিনি প্রার্থী। বিজেপির অন্দরমহলের খবর, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি অন্তত দুটি আসন জিতলে একটি হবে দার্জিলিং, অন্যটি এই কৃষ্ণনগর৷ সত্যব্রত বলছেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মোদি-হাওয়া এবং প্রতিষ্ঠানবিরোধী বিষয় এবার তাঁর জয়ের পথ প্রশস্ত করে তুলেছে।
তৃণমূল, বিজেপির পাশাপাশি এই আসনের সিপিএমের প্রার্থী কৃষিবিজ্ঞানী অধ্যাপক শান্তনু ঝা ও কংগ্রেসের রাজিয়া আহমেদও জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। এই আসনের ৩০ শতাংশ ভোটারই মুসলিম৷ এই ভোটের কম-বেশি দাবিদার তৃণমূল, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। এই অঙ্ক মাথায় রেখে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে মুসলিম মহিলাকে।
২০০৯ সালের নির্বাচনে এই আসনে তাপস পাল ৭৭ হাজার ৩৮৬ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বামফ্রন্টের জ্যোতির্ময়ী শিকদার পেয়েছিলেন তিন লাখ ৬৬ হাজার ২৯৩ ভোট। বিজেপির প্রার্থী সত্যব্রত পেয়েছিলেন এক লাখ ৭৫ হাজার ২৮৩ ভোট।
কৃষ্ণনগরের পলাশীপাড়ার ভোটার নিরুপম দাস বলেন, তাপস পালের জয়ের সম্ভাবনা এবার কম৷ জিততে পারেন সত্যব্রত৷ তিনি না পারলে জয়ের মালা পরতে পারেন বামফ্রন্টের প্রার্থী। কারণ, বামফ্রন্ট বা সিপিএমের এই আসনে নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক আছে। তাই তাপস পালের জয় নিয়ে ভয় আছে, আছে সংশয়।
আরও পড়ুন
-
যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছেলের মৃত্যু, কান্না থামছে না মা–বাবার
-
সাকিবের সঙ্গে দেখা করলেন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী, মুহূর্তেই ছবি ভাইরাল
-
রাজধানীর তাপমাত্রা আরও বাড়ল, চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ
-
মোস্তাফিজের এবারের আইপিএল: সাবেক দলের বিপক্ষে উইকেট যে কারণে কম
-
ট্রাম্পের বয়স নিয়ে খোঁচা দিলেন জো বাইডেন