Thank you for trying Sticky AMP!!

হামলার ভিডিও না ছড়াতে নিউজিল্যান্ড পুলিশের নির্দেশ

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ভিডিওটি না ছড়াতে লোকজনকে নির্দেশ দিয়েছে নিউজিল্যান্ড পুলিশ। এর মধ্যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে। এতে দেখা গেছে, ভিডিও গেমের মতো একজন বন্দুকধারী স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করছে।

আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে মসজিদে জুম্মার নামাজ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে একজন বন্দুকধারী সিজদায় থাকা মুসল্লিদের ওপর গুলি ছোড়ে। মসজিদটি হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে হওয়ায় অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা সেখানে নামাজ আদায়ে যাচ্ছিলেন। অল্পের জন্য রক্ষা পান ক্রিকেট দলের সদস্যরা। মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। আতঙ্কিত খেলোয়াড়েরা হ্যাগলি ওভালে ফিরে আসেন। খেলোয়াড়দের সবাইকে মাঠের ভেতর থাকতে বলা হয়েছে।

হামলার ভিডিও দেখে ধারণা করা যাচ্ছে, বন্দুকধারী হামলার আগে পুরো ঘটনাটি ভিডিও করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। হয়তো তাঁর মাথায় ভিডিও ক্যামেরা বসানো ছিল। একটি ওয়েবসাইট জানায়, হামলাকারী হামলাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ করেছেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলাকারী স্বয়ংক্রিয় বন্দুক নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে মসজিদের দিকে যাচ্ছেন। মসজিদের প্রবেশ কক্ষ থেকেই মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে বৃষ্টির মতো গুলি করা শুরু করেন। মসজিদের ভেতর ছুটোছুটিরত মুসল্লিদের প্রতি টানা গুলি করতে থাকেন। এরপর মসজিদের এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে ঘুরে ঘুরে গুলি করতে থাকেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে যাঁরা মসজিদের মেঝেতে পড়েছিলেন, তাঁদের দিকে ফিরে ফিরে গুলি করছিলেন তিনি।

ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি: গুগল

এক্সপ্রেস নামের একটি স্থানীয় গণমাধ্যমের অনলাইনে বলা হয়েছে, হামলাকারীকে শনাক্ত করা গেছে। ২৮ বছর বয়সী একজন শ্বেতাঙ্গ। তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছেন। দুই বছর ধরে তিনি এ হামলার পরিকল্পনা করছেন। হামলাকারী জানিয়েছেন, ইউরোপের দেশগুলোতে বিদেশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে তিনি এ হামলার পরিকল্পনা করেন।

পুলিশ নিশ্চিত না করলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে হামলায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আহত অনেক।
দুটি মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এ হামলাকে নিউজিল্যান্ডের ‘অন্ধকার দিনগুলোর একটি’ বলে নিন্দা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করা হয়েছে।

নিউজিল্যান্ড পুলিশ টুইটে জানিয়েছে, হামলার ভয়াবহ ভিডিওটি অনলাইনে প্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক করছে পুলিশ। ওই লিংকটি শেয়ার না করার জন্য জোর দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশ ফুটেজটি অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলতে কাজ করছে।

আরও পড়ুন: