দক্ষিণ আফ্রিকায় বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষে আরও ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২। দেশটির প্রাদেশিক কর্মকর্তারা গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে দেশটির জোহানেসবার্গসহ বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। এ সময় সহিংসতা ও দোকানপাট লুটের ঘটনাও ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, সহিংসতা-লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৫ মাসের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়ার পর গ্রেপ্তার এড়াতে গত সপ্তাহে পুলিশের কাছে ধরা দেন জ্যাকব জুমা (৭৯)। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর তাঁর নিজ প্রদেশ কাওয়াজুলু নাতালে (কেজেডএন) বিক্ষোভ দানা বাঁধে।
কাওয়াজুলু নাতালের প্রধান শিহলে জিকালালা গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, সেখানে এ নিয়ে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। তবে প্রদেশের ঠিক কোন অঞ্চলে সহিংসতায় তাঁরা নিহত হয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
বিক্ষোভ দমাতে দেশটিতে ইতিমধ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সে দেশের বিচারমন্ত্রী বলেছেন, জুমা চার মাস পর প্যারোলে মুক্তি পেতে পারেন।
২০১৮ সালে জ্যাকব জুমাকে ক্ষমতাচ্যুত করা সিরিল রামাফোসা এক বিবৃতিতে বলেন, যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় পূর্ণ আইনি শক্তি প্রয়োগ করা হবে।
পুলিশ বলেছে, জুমার কারাদণ্ডাদেশ নিয়ে দেখা দেওয়া অসন্তোষের সুযোগ নিচ্ছে কিছু অপরাধী। তারা চুরি, লুট ও সম্পদের ক্ষতি সাধন করছে।
জুমা গত বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর জন্মস্থান কাওয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের এসটকোর্ট কারেকশনাল সেন্টারে কারাজীবন শুরু করেন। এর আগে আদালত অবমাননার দায়ে গত ২৯ জুন তাঁকে কারাদণ্ড দেন আদালত।
ক্ষমতায় থাকাকালেই জুমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তদন্ত করছিলেন উপপ্রধান বিচারপতি রেমন্ড জোনডো। সেই তদন্তের জন্যই তলব করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির হননি।