পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং–উন। কেসিএনএ ২৫ ডিসেম্বর এই ছবি প্রকাশ করেছে
পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং–উন। কেসিএনএ ২৫ ডিসেম্বর এই ছবি প্রকাশ করেছে

পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির কারখানা পরিদর্শন কিমের, দুই দেশের সম্পর্কের প্রশংসা পুতিনের

উত্তর কোরিয়ায় একটি পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেছেন দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং–উন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছ থেকে তিনি একটি বার্তাও পেয়েছেন।

পুতিন ওই বার্তায় দুই দেশের মধ্যে ‘অটুট বন্ধুত্বের’ ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ আজ বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে।

বিশ্লেষকেরা বলেছেন, রাশিয়া প্রায় চার বছর আগে ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ শুরু করে। তার পর থেকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। মস্কোর হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পিয়ংইয়ং সৈন্য পাঠিয়েছে। এর পরিবর্তে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে আর্থিক সহায়তা, সামরিক প্রযুক্তি এবং খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ পাঠাচ্ছে।

পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির কারখানা পরিদর্শনে এসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং–উন। কেসিএনএ ২৫ ডিসেম্বর এই ছবি প্রকাশ করেছে

কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) খবরে বলা হয়, পুতিন কিমকে পাঠানো এক বার্তায় বলেছেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে উত্তর কোরীয় সেনাদের ‘বীরত্বপূর্ণ অবদান স্পষ্টভাবে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের অটুট বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়েছে’।

গত সপ্তাহে পুতিনের এই বার্তা পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছায়।

দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অনুমান, উত্তর কোরিয়া তাদের হাজার হাজার সেনা রাশিয়ায় পাঠিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সেনারা প্রথমে কুরস্কে গেছেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল আর্টিলারি শেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও দূরপাল্লার রকেট সিস্টেম।

দক্ষিণ কোরিয়ার অনুমান অনুযায়ী, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রায় দুই হাজার সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েক হাজার সেনা আহত হয়েছেন।

উত্তর কোরিয়া এই মাসে স্বীকার করেছে, কুরস্কে তাদের সৈন্যরা মাইন অপসারণের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ কাজ করার সময় কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছেন।

কেসিএনএ আজ কিমের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। একটি ছবিতে দেখা যায়, তিনি বিশাল আকারের একটি সাবমেরিনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে মেয়ে কিম জু আয়ে এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।

আরেকটি ছবিতে কিম হাসি মুখে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন, পাশে মেয়ে কিম জু আয়ে দাঁড়ানো।

কিম জং–উনের বরাত দিয়ে কেসিএনএর খবরে আরও বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরি করলে পিয়ংইয়ং সেটিকে নিজেদের নিরাপত্তা ও সামুদ্রিক সার্বভৌমত্বের মারাত্মক লঙ্ঘনকারী আগ্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করবে।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং–উন। কেসিএনএ ২৫ ডিসেম্বর এই ছবিটি প্রকাশ করেছে

কিম উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীকে দ্রুত আধুনিকীকরণ এবং সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত করার কাজ জোরদার করা অপরিহার্য বলেও বর্ণনা করেন।

কেসিএনএর খবরে আরও বলা হয়, কিম কর্মকর্তাদের কাছে তাঁর নৌবাহিনী পুনর্গঠন পরিকল্পনা স্পষ্ট করেছেন এবং পানির তলদেশে নতুন গোপন অস্ত্রের গবেষণা সম্পর্কে জেনেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।